শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

পাটপণ্যে নতুন উদ্যোক্তাদের প্লট দেবে সরকার

পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলা উদ্বোধন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দেশে পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার অনেক ছোট, মাত্র এক শতাংশ। পাটের স্থানীয় বাজার আরও স¤প্রসারিত করতে হবে। এজন্য বহুমুখী পাটপণ্যের নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। আগ্রহী নতুন উদ্যোক্তাদের নরসিংদী পাটকল, বিসিক শিল্পনগরীসহ অন্যান্য স্থানে প্লট প্রদান করা হবে বলে শিল্পমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

শিল্পমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে করিম চেম্বারে জুট ডাইভার্সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)-এর উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনকালে একথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, জেডিপিসি-এর নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের সত্ত¡াধিকারী রাশেদুল করিম মুন্না বক্তৃতা করেন।

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে পাটপণ্যের বাজার স¤প্রসারণে শুধু নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে নয়, পাটপণ্যের মেলা বছর জুড়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্থায়ীভাবে আয়োজন করতে হবে। সেই সঙ্গে ঢাকার বাইরে সকল জেলাতেও নিয়মিত মেলার আয়োজন করতে হবে। পাটপণ্যের মূল্য যাতে সাধারণ জনগণের সাধ্যের মধ্যে থাকে সে বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি শিল্পমন্ত্রী আহবান জানান।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য প্রস্তাব নিয়ে প্রতিদিন আসছেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে স্থানীয় উদ্যোক্তাগণেরও বিনিয়োগের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে, নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার হার প্রশংসনীয়। সরকার চায় আরও অধিক সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখুক। এজন্য তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।

শ্রমিক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের কর্মহীন করা হবেনা। তারা রাস্তায় বের হয়ে জনগণের ভোগান্তির কারণ হবেন না। তারা নিজেদের ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বহুমুখী পাটপণ্যের একটি বিশাল বাজার রয়েছে। এদেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে পাটপণ্য পৌঁছে দিতে হবে। ভারতে উৎপাদিত পাটের ৮০ ভাগ স্থানীয়ভাবে ব্যবহার হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের বিদেশে রফতানির আগে দেশীয় বাজারের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। আর্থিক সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেলে বিদেশে রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, ক্ষতিকর পলিথিনের পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে প্রতিদিন এক লক্ষ পিস পাটের তৈরি ‘সোনালী ব্যাগ’ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই পাটের ব্যাগ বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এবছর পাঁচ টন পাটপাতা রফতানি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, দেশের কৃষক শ্রেণীসহ প্রায় চার কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাটের ওপর নির্ভরশীল। ভারতের পাটের চেয়ে বাংলাদেশর পাটের মান উন্নত। কৃষকরা যাতে পাট উৎপাদনে উন্নত বীজ ও কৃষি প্রযুক্তি ব্যাবহার করতে পারেন সেদিকে আরও মনযোগী হবার আহবান জানান ভারপ্রাপ্ত সচিব। পরে শিল্পমন্ত্রী পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন