আধুনিক বাংলা কবিতার অগ্রদূত কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদ এখন মৃতপ্রায়। এক সময় যশোর, সাতক্ষীরা আর খুলনার প্রায় ২০ টিরও বেশি উপজেলার মানুষের জীবন-জীবিকা এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল এটি। কিন্তু কালের বিবর্তনের সাথে সাথে নদটির নাব্য সংকট দেখা দেওয়ার পাশাপাশি দখল, দূষণ ও ভরাটের কবলে পড়েছে। ফলে নদটির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ব্যাপকভাবে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমিদস্যু নদটি দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা, ফসল চাষ, মাছের ঘের কিংবা বসতবাড়ি তৈরি করছে। কেউবা আবার এটাকে ঘিরে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শনের উৎসবে মেতে উঠেছে। তাছাড়া স্থানীয় মানুষের নদবিধ্বংসী কর্মকান্ড ও অসচেতনতার ফলে প্রকৃতি-পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার জেলে সম্প্রদায় এবং নদনির্ভর সাধারন মানুষগুলো। এছাড়া নদটির প্রশস্ততা এবং গভীরতা হ্রাসের ফলে বর্ষা মৌসুমে আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয় প্রতিবছরই। যার ফলে স্থানীয়দের পড়তে হয় অসহনীয় ভোগান্তিতে। সর্বোপরি নদটির হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনতে এবং এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য পুনরায় খনন কার্য এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আশিকুর রহমান
শার্শা, যশোর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন