এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে পাইপ লাইন ফেটে যাওয়ায় নগরীর পতেঙ্গা, দক্ষিণ হালিশহরসহ বিশাল এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে ওই এলাকার গ্যাসনির্ভর কল-কারখানা এবং বাসা-বাড়িতে গ্যাস নেই। চরম বিপাকে পড়েছে ওই এলাকার মানুষ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে গৃহিনীরা দেখেন গ্যাস নেই চুলা জ্বলছে না। গ্যাসের অভাবে অনেক বাসা-বাড়িতে রান্না বন্ধ। শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করছেন অনেকে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক, বানৌজা উল্কা, কর্ণফুলী ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা রয়েছে এ এলাকায়।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী খায়েজ আহম্মদ মজুমদার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নগরীর স্টিল মিল এলাকার মহাজন টাওয়ারের সামনের সড়কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পাইলিং করার সময় গতকাল সোমবার ভোর ৩টা ৫০ মিনিটে গ্যাস লাইন ফেটে যায়। এরপর থেকে পতেঙ্গা, দক্ষিণ হালিশহরসহ নগরীর ওই অংশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। সকাল থেকে পাইপ লাইনে ত্রুটি সারানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও ওই সড়কে হাঁটু পানি থাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ শুরু করা যায়নি। তিনি বলেন, রাস্তার পানি সরে গেলে কাজ শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপ। গভীর রাতে ওই এলাকায় পাইলিং করার সময় সড়কের কয়েক ফুট গভীরে থাকা গ্যাসের মেইন লাইন ছিদ্র করে ফেলা হয়। প্রবলবেগে গ্যাস বের হতে থাকলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপ নগরীর প্রধান সড়কের কাটগড় থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত অংশে দুইপাশের নালা ভরাট করে ফেলেছে। এর ফলে বৃষ্টির পানি আটকে সড়কের ওই অংশ খালের রূপ ধারণ করেছে। পানি থাকায় গ্যাসের পাইপ লাইনে ত্রুটি সারানোর কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন