মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

প্রত্যাশা প্রাপ্তির চাকরি মিলেছে মেধা ও যোগ্যতায়

সাক্ষাৎকারে কুমিল্লা পুলিশ সুপার

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার: | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

কাজলরেখা, আছমা, প্রিয়াংকা, রবিউল, লুৎফুর, কোহিনুর, মেহেদি, ঝুমুর, শাহাজাদিসহ ৩০৭ তরুণ-তরুণী সাধারণ ও হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। যাদের ভাগ্যে জুটেছে চাকরি নামের সোনার হরিণ! ওদের মামা খালু কেউ নেই উপরে, নেই প্রশাসনের কারো সাথে সখ্যতা, নেই ক্ষমতাধর বা প্রভাবশালী কারো সাথে সম্পর্ক।
পরিবারের অনটনের কারণে কোথাও ঘুষ দিয়ে চাকরি নামের একটা সোনার হরিণ ভাগ্যে জুটাবে এমন অবস্থাও নেই। কিন্তু ওরা মেধা যোগ্যতায় পেয়েছেন পুলিশ প্রশাসনে চাকরি। চাকরি প্রত্যাশিদের চোখে নতুন স্বপ্নের আলো ফুটালো কুমিল্লার পুলিশ বিভাগ। পুলিশের কনস্টেবল পদে তিন টাকার ফরম আর একশো টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে মেধা ও যোগ্যতায় সরকারি চাকরি নামের সোনার হরিণ পেলো কুমিল্লার ৩০৭জন ছেলে-মেয়ে। নিয়োগ পাওয়া ৩০৭ জনের মধ্যে ১৭৩ জন পুরুষ এবং ১৩৪ জন নারী। যাদের বেশিরভাগই দিনমজুর, সবজি বিক্রেতা, গার্মেন্টসকর্মী, কৃষক, গৃহকর্মী, ভ্যান ও রিকশাচালকের সন্তান। মেধা ও যোগ্যতার বিকল্প কিছুই নেই উল্লেখ করে ইনকিলাবের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, এ নিয়োগে আর্থিক লেনদেনসহ সব অনিয়ম ও সুপারিশ পরিহার করা হয়েছিল। যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের অধিকাংশই সাধারণ ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান। প্রকৃত মেধাবিরাই যোগ্যতার ভিত্তিতে সুযোগ পেয়েছে চাকরিতে। কুমিল্লা জেলা পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে চাকরি প্রত্যাশিরা নিজেদের মেধাবী ও যোগ্য করে তুলতে সচেষ্ট হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Md bulu ১৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
এখানে যারা পুলিশ বাহিনীর চাকরি পেলো তাদেরকে ঘুষখোর পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের থেকে দূরে রাখা দরকা। নাহলে কিন্তু বুঝতেই পারছেন বাকিটা বুঝেনিতে হবে....
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন