শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

আলোকিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকা শহর সংলগ্ন ডেমরার একটি শিক্ষাঙ্গন। বাংলাদেশের মানচিত্রে এই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান হয়তো একটি বিন্দুর মতো। হোক বিন্দু, বিন্দুও সিন্ধু হয় যদি তার থাকে গতি। একটি মহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটি শিক্ষণীয় ইতিহাস, তা প্রভাবিত করে প্রতিবেশ, সমাজ, স্বদেশ, নির্মাণ করে সুস্থ, শৃঙ্খল সাংস্কৃতিক পরিম-ল।
দুই যুগ পেরোনো সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ সৃষ্টি, প্রজ্ঞায় বেশ প্রাগসর। ডেমরা অঞ্চল দীর্ঘকাল ভাগ্যবিড়ম্বিত ছিল। তবে অর্থ প্রাচুর্যে আজ সে সোনায় সোহাগা হয়েছে এমনও নয়। কিন্ত শিক্ষা সংস্কৃতির পরিবর্তন যে এসেছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। স্বাধীনতা উত্তরকালে ডেমরার এটাই সবেচেয় বড় প্রাপ্তি। শিক্ষাগত পরিবর্তনের মূল ধারায় বর্তমান প্রতিষ্ঠানেও সক্রিয় অবস্থান ছিল। ডেমরা সম্পর্কে জনশ্রুতিÑ ডেমরা অখ্যাত, অনুন্নত। কল-কারখানার শ্রমিকদের বসবাস এখানে। প্রত্যাশা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষার অভাব দূর করার জন্য গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও ডেমরাবাসী হতাশামুক্ত হয়নি। তারই ফলশ্রুতিতে সামসুল হক খান জুনিয়র হাই স্কুলের যাত্রা শুরু। মাতুয়াইলের বিশিষ্ট বিদ্যোৎসাহী ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব আলহাজ সামসুল হক খান এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন। সমাজকে বদলে দেবার বাসনা যার তীব্র এমন অবদান তার পক্ষেই রাখা সম্ভব। কাদা পানির ধান খেতে ১৯৮৯ সালে ছোট একটি টিনশেডের ঘরে ডজনখানেক শিক্ষক হাতে নিয়ে সামসুল হক খান জুনিয়র হাই স্কুল বিদ্যাশিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে। তখন এই স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল অনধিক একশত। এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে বাইশ বছর মানে দুই যুগ আগের এই এলাকার জনজীবনের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা। অর্থাৎ একটি অসচ্ছল লোকালয়ে এই স্কুলটি আত্মপ্রকাশ করে। আঁতুড়ঘরেই যার জীবনাবসানের সম্ভাবনা ছিল নিরানব্বই ভাগ। কিন্ত সে মরেনি। গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যেও ধারায় ২০১৫ সালে এসএসসিতে প্রথম স্থান ও এইচএসসিতে শতভাগ পাস ও ৯০% এ+ নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও বুয়েটসহ উচ্চ শিক্ষার কাক্সিক্ষত অঙ্গনে সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রেরণের প্রতিশ্রুতিশীল এবং শিক্ষা বিনোদনে সারা জাগানো প্রোথিতযশা ও দেশসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। একাদশ শ্রেণিতে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে অনলাইনে টেলিটক মোবাইলে ঝগঝ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন চলছে। ৯ জুন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনলাইন ও এসএমএসের আবেদন করা যাবে। ফল প্রকাশ ২৬ জুন। ঊওওঘ : ১০৭৯১৫।
প্রিন্সিপাল ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, আমরা ২০১৫ সালে এসএসসিতে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে মর্যাদা পাই। এ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা ২০০ শিক্ষার্থী বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। যাতায়তের ব্যবস্থা থাকায় দূরের শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে আসার সুযোগ পায়। বেশ কিছু কক্ষে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম চালু থাকায় শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও বৃত্তির ফলও বিস্ময়কর ছিল। বিস্তারিত তথ্য পেতে িি.িংযশংপ.বফঁ.নফ
শিক্ষাঙ্গন রিপোর্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন