সউদী আরব দীর্ঘদিন ধরে ভবিষ্যতের নিওম মেগাসিটি নির্মাণে এগিয়ে চলেছে। ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মরুভূমিতে এ মেগাসিটি নির্মাণের সউদী লাগামহীন উচ্চাকাক্সক্ষী মহাপরিকল্পনার আরো বিশদ তথ্য পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, সউদী আরবের এ যাবতকালের বৃহত্তম এ মহাপরিকল্পনা সরকারি ভাবে নিওম প্রকল্প নামে পরিচিত।
গত বৃহস্পতিবার ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক রিপোর্টে বলা হয়, মহানগরীর নির্মাণ সম্পন্ন করতে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সউদী আরবের ইচ্ছা যে এর আকার হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের সমান। এতে থাকবে ভবিষ্যতের বিভিন্ন বিষয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রহস্যময় শব্দ ও প্রযুক্তি। শুধু কি তাই? এখানে কৃত্রিম বৃিষ্টপাত ঘটানো হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় হাসবে কৃত্রিম চাঁদ। অন্ধকার সমুদ্র সৈকতে আলো ঔজ্জ্বল্য ছড়াবে। আর থাকবে রোবোট ডায়নোসর। নিওম মেগাসিটিতে মানুষের চেয়ে রোবটের সংখ্যা হবে বেশি। এক কথায়, বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে এ মেগাসিটি সায়েন্স ফিকশন ছায়াছবির মত।
উল্লেখ্য, সউদী আরবের উত্তর পশ্চিমে মিসর ও জর্দানের সাথে সউদী সীমান্তে তাবুকে লোহিত সাগর উপকূলে এ মেগাসিটি নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর আয়তন হবে ২৬ হাজার ৫০০ বর্গ কিলোমিটার অর্থাৎ ১০ হাজার ২০০ বর্গমাইল। ৪৬০ কিলোমিটার উপক‚ল রেখার বিপরীতে মরুভ‚মির গভীরে বিস্তৃত হবে মেগাসিটির এলাকা। ২০২৫ সালের মধ্যে নির্মাণের প্রথম পর্যায় সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জার্নাল ম্যাকিনসে এন্ড কোং, বোস্টন কনসাল্টিং এবং অলিভার উইমান, বিশে^র এ বৃহত্তম তিনটি কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা প্রতিবেদন উদ্ধৃত করেছে। সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সুলতানের স্বপ্ন কল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ মহানগরী নিওম নামে পরিচিত হবে। এটি একটি গ্রিক শব্দ যার অর্থ নতুন। আরেক নাম হবে মোসতাকবাল। এ আরবি শব্দের অর্থ ভবিষ্যত। জার্নালের খবরে বলা হয়, কনসালট্যান্টদের রিপোর্টে এমন সব আইডিয়া উপস্থাপন করা হয়েছে যাতে মরুভ‚মিতে বৃষ্টিপাত ঘটাতে কৃত্রিম মেঘ সৃষ্টি করা হবে। নারী রোবট গৃহকর্মীরা ঘরের কাজ করবে। অন্ধকার বালির সৈকত আলোয় উদ্ভাসিত হবে। আনন্দময় উড়াল ভ্রমণ হবে ফ্লাইং ট্যাক্সিতে। আর প্রতি সন্ধ্যায় আকাশে আলো ছড়াবে কৃত্রিম চাঁদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন