শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নলছিটি হয়ে পায়রা বন্দরে যাবে রেল

ঝালকাঠি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৯, ৩:৫৩ পিএম

সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নদী ঘেরা বরিশাল বিভাগের জনসাধারণকে রেল সুবিধার আওতায় আনতে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করেছিলো রেলপথ মন্ত্রণালয়। ভাঙ্গা-বরিশাল রেলপথটি প্রস্তাবিত পদ্মা রেললিংক, পাটুরিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা রেললাইন এবং খুলনা মংলা রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে। এতে প্রথমবারের মত বরিশালের সঙ্গে দেশের অন্যান্য স্থানের রেলপথের যোগাযোগ নিশ্চিত হবে।
এজন্য ইতিমধ্যে বরিশাল বিভাগের নতুন রেললাইনের ম্যাপ চুড়ান্ত করা হয়েছে। সাম্প্রতি শুরু হয়েছে সার্ভে কাজ। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত তিনটি বেসরকারী সার্ভে কোম্পানি জরিপ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার রাতে বেসরকারী সংস্থা ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড সেফ গার্ড কনসালটেশন (ডিএসসি) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি সার্ভে টিম উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের ভরতকাঠী গ্রামে পৌছেছেন। দলটি শনিবার সকাল থেকে উপজেলার কুমারখালি এলাকার সুগন্ধা নদীর তীর থেকে সার্ভে কাজ শুরু করবেন।

এ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ব্রডগেজ রেল লাইন নির্মাণ এবং বরিশাল থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল লাইনের সম্ভাব্যতা যাচাই চুরান্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই রেলপথে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ওপর দিয়ে পটুয়াখালির পায়রা বন্দর যাওয়ার রোড ম্যাপ চুরান্ত করা হয়েছে। উপজেলার ভরতকাঠি গ্রামে বরিশালের আঞ্চলিক রেলওয়ে ষ্টেশন নির্মাণ করার লক্ষে কাজ শুরু হচ্ছে। এদিকে প্রাথমিক সার্ভে অনুযায়ী মাটি পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ম্যাপ অনুযায়ী জমি, ঘর-বাড়ি, স্থাপনা, গাছ-পালার জরিপ কাজ শুরু হবে।
স্থানীয়রা জানায়, বর্তমানে সড়ক পথে ঢাকা থেকে বরিশালের দূরত্ব প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে অধিকাংশ মানুষ ঢাকায় এসে তাদের প্রতিদিনের কাজকর্ম শেষে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন । নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হলে পদ্মাসেতুর মাধ্যমে ঢাকা থেকে বরিশালের দূরত্ব কমে ১৮৫ কিলোমিটারে নেমে আসবে আর ভ্রমণে সময় কমবে তিন ঘণ্টা।

জানা গেছে, প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে নয় হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যার মধ্যে সাত হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়া হবে। আর সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে এক হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বৃহত্তর বরিশালের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের রেল যোগাযোগ তৈরি হবে। ২০২১ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে আগামী বছরের জুলাইয়ে এ প্রকল্প শুরু করতে চায় রেল মন্ত্রণালয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন