শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মিয়ানমার থেকে আসছে প্রচুর গবাদি পশু

সঙ্কটের আশঙ্কা নেই

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রচুর গবাদিপশু আসছে মিয়ানমার থেকে। টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পশু আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বৈরি আবহাওয়ার কারণে কয়েক দিন বন্ধ থাকালেও গত ৫দিনের ৩৭টি ট্রলারে ৬হাজার ২১৮টি গবাদি পশু আমদানি করা হয়েছে শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে। এর মাঝে ৪ হাজার ৩৪৮টি গরু ও ১ হাজার ৮৭০টি মহিষ বলে জানা গেছে।

এছাড়াও কক্সবাজার এবং পাশ র্¦বর্তী বান্দরবান এলাকার খামারীরা বছরজুড়ে তাদের মোটাতাজা করা গরু মহিষ ও ছাগল কোরবানির বাজারে আনতে শুরু করেছেন। এতে করে দামও রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে। খামারী ও ব্যবসায়ীদের মতে এবারের কোরবানির হাটে পশু সঙ্কটের কোন আশঙ্কা নেই।

টেকনাফ শুল্ক বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ২৫ মে টেকনাফের সাবরাংয়ের শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীর পার্শ্বে একটি ক্যাডল করিডোর চালু করেচিল তৎকালীন সরকার। প্রতি গরু-মহিষ থেকে ৫শ’ ও ছাগল থেকে ২শ’ টাকা হারে রাজস্ব আদায় করা হয়ে থাকে। গত ৫ দিনের ৩২টি ট্রলারে প্রায় ৫ হাজার ২১৮টি গবাদি পশু আমদানি করা হয়েছে। এর মাঝে ৩ হাজার ৮৪৮টি গরু ও ১ হাজার ৩৭০টি মহিষ রয়েছে। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ ৯ হাজার টাকা।

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা মেটাতে এবারও মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ গবাদিপশু আমদানির পরিকল্পনা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম, আবু ছৈয়দ মেম্বার, আবুদু শুকুর, মো. সোহেল, জুবাইরসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এবারের কোরবানির মৌসুমে ২০-২৫ হাজার গবাদিপশু মিয়ানমার থেকে আমদানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম আরো জানান, বৈরি আবহাওয়া কারণে কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর গত ৪দিনে প্রায় এক হাজার ৭০টি গবাদিপশু মিয়ানমার থেকে আমদানি করেছেন তিনি। ঈদে গরু চাহিদা থাকায় দামও ভাল পাচ্ছেন বলে জানিয়ে বলেন, তার ট্রলার থেকে বড় ৪টি গরু বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন তিনি। এখন লক্ষ্য কোরবানির ঈদের চাহিদা পূরণ করা।

টেকনাফের ব্যবসায়ী আবু ছৈয়দ মেম্বার বলেন, প্রতিবারের মতো এবারো স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশুর জন্য ঝুঁকেছেন মিয়ানমারের দিকে। মিয়ানমার থেকে প্রচুর পশু আসছে শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে। এসব পশু নিয়ে টেকনাফ সদরের গরু বাজারে, টেকনাফ মিঠাপানির চড়া, সাবরাং ইউনিয়ন কমপ্লেক্স, শাহপরীর দ্বীপের নাফনদীর বেড়িবাধ ও পুরাতন বাজারের বেশ কয়েকটি স্থানে পশুর হাট
জমে উঠেছে।

টেকনাফের শুল্ক কর্মকর্তা মো. ময়েজ উদ্দীন বলেন, মিয়ানমারের পশু আমদানি করে এই করিডোর রাজস্বে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বৈরি হাওয়ায় গত কয়েকদিন পশু আমদানি বন্ধের পর সোমবার থেকে পশু আসা শুরু হয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র করিডর শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে মিয়ানমার থেকে গত মাসে ৬ হাজার ৭৪৪টি গরু ও ৩ হাজার ৩৫১টি মহিষ আমদানি করে ৫০লাখ ৪৭হাজার ৫০০ টাকার রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়। এ স্থলবন্দর থেকে সদ্যসমাপ্ত জুলাই মাসে প্রায় ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করা সম্ভব হয়েছে। তবে পশু আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আয়ও বাড়বে। পশু আমদানী বাড়াতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (14)
এস এম সেলিম ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
ভারত আমাদের বন্ধু দেশ তাই গরু দেয় না। আর মায়ানমার আমাদের শত্রু দেশ তাই গরু পাঠাচ্ছে ঈদে। এখন বলুন বন্ধু ভালো না শত্রু ভাল। আর কিছুদিন ভারতের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে দেশ এমনি ধ্বংস হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
এস এম সেলিম ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
ভারত আমাদের বন্ধু দেশ তাই গরু দেয় না। আর মায়ানমার আমাদের শত্রু দেশ তাই গরু পাঠাচ্ছে ঈদে। এখন বলুন বন্ধু ভালো না শত্রু ভাল। আর কিছুদিন ভারতের সাথে বন্ধুত্ব রাখলে দেশ এমনি ধ্বংস হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
Srabon Chowdury ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
আসুক আসুক দেশি গরুর যে দাম বাহির থেকে না আসলে তো আমরা কোরবানি দিতে হিমশিম খেয়ে যাব
Total Reply(1)
Yourchoice51 ৭ আগস্ট, ২০১৯, ৯:৪৮ এএম says : 4
Absolutely correct.
Touhidul Islam Bablu ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
shadharon manushera abar kurbani dite parbena, tai onno desh theke beshi porimane goru amdani kora houk obilombe. 2/4 ta goru khamarider khushi korar jonno banglar kuti kuti manush k o khushi kore rekhese awamilig shorkar
Total Reply(0)
Md Neamat Ullah ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ্‌, দেশের গরু বিক্রেতারা যে দাম চাচ্ছিল এক কেজি গরুর মাংস ১০০০-১৫০০ পড়তো। এখন বাইরের গরু আসলে আশা করা যায় গরুর দাম আমাদের মত সাধারন ক্রেতাদের জন্য সহনীয় হবে।
Total Reply(0)
Mostak Ahmed ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
গরু আসছে ভালো তবে সাথে যেন ইয়াবা না আসে।
Total Reply(0)
Mostak Ahmed ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
গরু আসছে ভালো তবে সাথে যেন ইয়াবা না আসে।
Total Reply(0)
লাল সালু ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
রোহিঙ্গাদের নিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে, আাবার গরু আসা শুরু হলো। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে যাবে নাতো?
Total Reply(0)
Anamul Haque Bijoy ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেশে ঢুকতে দেওয়া উচিত
Total Reply(0)
Susanta Sarker ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
মায়ানমার লাত্থি দিয়ে মুসলিমদের বের করে দিলো আর এখন মায়ানমার থেকে ওরা গরু আনে। ওরা সব পারে সব নাটক।
Total Reply(1)
Yourchoice51 ৭ আগস্ট, ২০১৯, ৯:৫৪ এএম says : 4
Mayanmar has problem with Muslim because of religion/ethnicity. I did not hear Mayanmar ever killed people because of eating beef (cow-meat). India adores cow; I wonder why India will send cows to Bangladesh to get slaughtered. Let India preserve Cows forever!!!!!
Susanta Sarker ৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
মায়ানমার লাত্থি দিয়ে মুসলিমদের বের করে দিলো আর এখন মায়ানমার থেকে ওরা গরু আনে। ওরা সব পারে সব নাটক।
Total Reply(0)
ash ৪ আগস্ট, ২০১৯, ৫:৫৯ এএম says : 0
AGE DHAN CHASHI DER MATHE MERECHE, AKHON KORBANIR GORUR KHAMARI DER O MATHE MARBE !! DESH TA KI VABE AGABE??
Total Reply(0)
রাশেদুল মোমেনীন ৪ আগস্ট, ২০১৯, ৯:৫১ এএম says : 0
ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ করে কেন? প্রয়োজনে দেশের খামারীদের কে ভর্তুকি দেয়া হোক, তবুও যেন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ না বাড়ে। বাইরের গরু ছাড়া কুরবানির পশু কেনা কষ্ট হয়ে পড়বে সাধারণ মানুষের।মায়ানমার থেকে গরু আনা কে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
Total Reply(1)
Yourchoice51 ৭ আগস্ট, ২০১৯, ৯:৫৬ এএম says : 4
India loves cow.....
Mohammed Kowaj Ali khan ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৫২ পিএম says : 0
বারমা খোনীদের হইতে সব আমদানি বন্ধ করা হোক। দেশী গরু ছারা ইন্দিয়া বারমার গরু কিনবেন না। ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(1)
Yourchoice51 ৭ আগস্ট, ২০১৯, ১০:০৭ এএম says : 4
If Bangladesh has enough cow for qurbani, then why the price is so high in Bangladesh? Check the internet …. how much it costs to offer a whole cow for qurbani in India … please stop the monopoly....let more pious people participate in qurbani by lowering the market price in Bangladesh through imports.

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন