শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভোলায় মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৯, ৩:৪১ পিএম

ভোলায় গণধর্ষণের হোতাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আতোয়ার রহমান। আজ জনাকীর্ণ আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে তিনি এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়,১৮৮/ ২০১১ সালের জুলাই মাসে ভোলা রাজাপুরে মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন রাজাপুরের ভূমিদস্যু রফিক মাল, ভুট্টু মেম্বার, বাশারসহ আরো পাঁচজন। ধর্ষণের ২ দিন পর ২০১১সালে মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ভোলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ভোলার থানা দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ওই চার্জশিট গ্রহণ করে রফিক মাল, ভুট্টু মেম্বার, বশার সরদার, বাদশা ও করিরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। চার্জ শুনানির পর দীর্ঘদিন ধরে এ মামলাটির সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করেন। অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দীর্ঘ শুনানীআন্তে আজ ৭ আগস্ট ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আতোয়ার রহমান চাঞ্চল্যকর এই মামলার যুগান্তকারি এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সংক্ষিপ্ত এক প্রতিক্রিয়ায় দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এটা আমার কর্তব্য। আমি আমার কর্তব্য অনুযায়ী কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার। সর্বোপরি যাদের দানে আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের জাজ সেই মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ধর্ষণ মামলায় এ রায় দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ধর্ষিতার পরিবার। রায় ঘোষণার পর ভোলার ইলিশা এবং রাজাপুরে মিষ্টি বিতরণ এর ঘটনা খবর পাওয়া গেছে।
ভোলার নারী-শিশু আদালতের বিচারক আতোয়ার রহমানের এ রায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোলার মুক্তিযুদ্ধা নেতারা। তারা বলেন, আমরা খুবই সন্তুষ্ট এবং এই রায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ধর্ষিত অসহায় মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারি ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের মানবতাবাদী পিপি গোলাম মোরশেদ কিরন তালুকদার। তিনি বলেন, আজকের এই রায় ভোলার নির্যাতিত মানুষের জয়। রায়ে রফিক মাল, ভুট্টু মেম্বার, বশার সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল দেয়া হয়েছে এবংসন্দেহাতীতভাবেভাবে অপরাধ প্রমান না হওয়ায় বাদশা ও কবিরকে খালাস প্রধান করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন