‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্্ নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক লা শারীকা লাক’। অর্থাৎ আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার সমীপে হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত হয়েছি। আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার আহবানে সাড়া দিতে, তোমার কোন শরীক নেই এ ঘোষণা জারী করতেই আমি হাজির হয়েছি। প্রকৃত পক্ষে সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার জন্যই নির্ধারিত। আর সকল মালিকানা ও শাসন ক্ষমতা তোমাতেই নিবদ্ধ আছে। তোমার কোন শরীক নেই।’ উপরোক্ত তালবিয়ায় গুঞ্জরিত হচ্ছে আজ মিনা প্রান্তর। সেখানে সমবেত হয়েছেন ২০ লাখের বেশি হজ্জযাত্রী। তারা সারাদিন মিনায় অবস্থান করে রাতের যে কোন সময়ে আরাফাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন ইন শা আল্লাহ।
সউদী আরব জানিয়েছে যে, চলতি সালে হজে অংশ নিতে সারা বিশ্ব থেকে ১৮ লাখেরও বেশি মুসলমান সেদেশে গেছেন।
পাসপোর্টের মহাপরিচালক, জেনারেল সুলাইমান আল-ইহাইয়া গত বুধবার পরিসংখ্যান ঘোষণা করে জানান, প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার পুরুষ এবং ৮ লাখ ৮৬ হাজার মহিলা হজযাত্রী হজের জন্য সউদী আরব গেছেন। তিনি আরো জানান, এ বছর সউদী এবং প্রবাসী বাসিন্দাসহ মোট ২০ লাখেরও বেশি মুসলিম হজে অংশ নিচ্ছেন।
হজযাত্রীগণ আজ রাতে মিনা থেকে আরাফাত অভিমুখে রওনা দেবেন এবং আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ। কারণ, আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল-হাজ আরাফাহ’ অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের নামই হচ্ছে হজ। সূর্যাস্ত পর্যন্ত যারা আরাফাতের সীমানার ভেতরে অবস্থান করবে না, তাদের হজ হবে না।
৯ যিলহজের একটি বড় আমল রোজা পালন করা। এটা দিনের সর্বোত্তম আমল। সহিহ মুসলিম শরিফের এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, ‘আরাফা দিবসের রোজা পূর্বের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়।’ হজযাত্রী ছাড়া অন্য সবার জন্য এ রোজা। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজের সময় আরাফার দিবসে রোজা রাখেননি। বরং সবার সম্মুখে তিনি দুধ পান করেছেন। -মুসলিম
ইকরামা থেকে এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-এর বাড়িতে প্রবেশ করে আরাফার দিবসে আরাফার ময়দানে থাকা অবস্থায় রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফার ময়দানে আরাফার দিবসের রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। মুসনাদে আহমদ: ২/৩০৪
বাংলাদেশে যারা আরাফার রোযা পালন করতে চান তারা আজ দিবাগত রাতেই নিয়্যাত করবেন এবং ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য কাল ফজর শুরু ৪টা ১২ মিনিট। তার অন্তত ৫ মিনিট আগে সাহারী খাওয়া সম্পন্ন করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সে তওফিক দান করুন। আমীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন