১৪৪৩ হিজরীর হজে সউদী সরকারের নীতি মোতাবেক হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী বছরের (২০২৩) ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে। অন্যথায় নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। আজ সোমবার বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাসপোর্টে হজযাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ) সঠিকভাবে উল্লেখ রয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় ২০২০ সালে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে অথবা পাসপোর্ট পরিবর্তন করা হয়েছে তাদের পাসপোর্টের তথ্য হালনাগাদ করতে করণীয় কী তাও জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে করণীয়: সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান নিবন্ধিত হজযাত্রীরা নিবন্ধন পয়েন্ট বা কেন্দ্রের মাধ্যমে (পাসপোর্ট চেঞ্জ অপশন ব্যবহার করে) পাসপোর্ট পরিবর্তনের আবেদন করবেন, পরে তথ্য হালনাগাদ করবেন।
একইসঙ্গে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেসব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তি নিবন্ধনের জন্য মনোনীত হয়েছেন তাদেরকে আগামী বছর ৪ জানুয়ারির মধ্যে মেয়াদ সংবলিত হালনাগাদ পাসপোর্টসহ নিবন্ধন পয়েন্ট বা কেন্দ্রের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ও সংশ্লিষ্ট এজেন্সির ক্ষেত্রে করণীয়: বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত হজযাত্রীরা স্ব-স্ব এজেন্সির মাধ্যমে (পাসপোর্ট চেঞ্জ অপশন ব্যবহার করে) ন্যূনতম ৪ জানুয়ারি মধ্যে মেয়াদ সংবলিত পাসপোর্টের তথ্য হালনাগাদের আবেদন করবেন।
সময় স্বল্পতার কারণে এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর সংখ্যা নির্ধারণের সুবিধার্থে পাসপোর্টের মেয়াদ জটিলতাজনিত কারণে হজযাত্রীর প্যাকেজ স্থানান্তর বা নিবন্ধন স্থানান্তর কার্যক্রম ব্যাহত হবে না বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। হজযাত্রীদের ভিসার ব্যাপারে নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভিসাযুক্ত পাসপোর্টের পিছনে মোয়াল্লেম নম্বর, মক্কা বা মদিনার আবাসনের ঠিকানা সংবলিত প্রিন্টেড ষ্টিকার সংযুক্ত করতে হবে। প্রিন্টেড ষ্টিকার সংযুক্ত করা সম্ভব না হলে কমপক্ষে হাতে লেখা উক্ত তথ্য সংযুক্ত করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের জেদ্দা বা মদিনা বিমানবন্দর হতে সউদী কর্তৃপক্ষ দেশে ফেরত পাঠাতে পারে। পরে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি বাতিল করা হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন