বিশিস্ট অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান দীর্ঘ চার মাস পর চিকিৎসা শেষে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ তিনি বাসায় ফিরছেন। এটিএম শামসুজ্জামানের সহধর্মিনী রুনী জামান জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে ইনশাল্লাহ আজ সবার প্রিয় এই মানুষকে নিয়ে বাসায় ফিরবো। তবে বাসাতেও বেশ কিছুদিন তার চিকিৎসা চলবে। দীর্ঘ দুই মাস রাজধানীর পুরোনো ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এটিএম শামসুজ্জামান চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজগর আলী থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে স্থানান্তরিত হওয়ার পর একটি অপারেশন হয়। তারপর থেকেই এটিএম শামসুজ্জামান ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেন। তাঁর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোগিতা করেন এবং সবসময় খোঁজ খবর রাখছেন। এটিএম শামসুজ্জামানের ভাষ্যমতে প্রায় প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রী তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটাও তার দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠার ক্ষেত্রে অন্যতম একটি কারণ হিসেবে মনে করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি। মহান আল্লাহ চাইলে একজন মানুষকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখতে পারেন আবার এক সেকেন্ডের মধ্যে নিয়ে যেতে পারেন। আমি শুধু একটি কথাই বলবো, মহান আল্লাহ যেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘ আয়ু দেন যাতে তাকে অনুরসণ করে পরবর্তীতে অন্যরাও যেন শিল্পীদেরকে ভালোবাসেন। আজ বাংলাদেশ সংস্কৃতির ক্ষেত্র যতটা এগিয়েছে তারমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অবদান অন্যতম। কোথায় কে অসুস্থ হলো তিনিই সবার আগে খোঁজ নেন। তিনি শিল্পী বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। অবশ্যই তার প্রতি আমি, আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। আর যে মানুষটির কথা না বললেই নয় তিনি হলেন আমার সহধর্মিনী। আমার অসুস্থতার দীর্ঘ এই সময়ে তিনি যে কী অমানবিক কষ্ট করেছেন, তা আমি উপলদ্ধি করেছি। তার জন্য মন থেকে অনেক দোয়া।’ এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনী জামান বলেন, ‘দীর্ঘ এই অসুস্থতার সময়ে অনেকেই নানাভাবে খোঁজ নিয়েছেন, দোয়া করেছেন। আমাদের পরিবার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। অবশ্যই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সর্বোপরি মহান আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা।’ উল্লেখ্য এটিএম শামসুজ্জামান দীর্ঘদিন পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন