মিষ্টি কন্ঠের শিল্পী সোনিয়াকে গানপ্রেমী শ্রোতা দর্শকের অবশ্যই মনে থাকার কথা। যদিও ২০০৫’র ‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ রিয়েলিটি শো’তে তার অবস্থান ছিলো চতুর্থ। কিন্তু নিজের অসাধারণ গায়কী, সুরেলা কন্ঠ আর ফ্যাশন সচেতনতার কারণে সোনিয়া তার সমসাময়িকদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছিলেন। নিজের মৌলিক গান প্রকাশের পাশাপাশি সিনেমাতেও গান গাওয়া নিয়ে তখন তার ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তার সময়কালে শুধু গান প্রকাশ নিয়েই নয় স্টেজ শো’তেও দারুণ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছন তিনি। এক কথায় সোনিয়া তার গায়কী দিয়ে শ্রোতা দর্শকের কাছে যেমন মুগ্ধতা ছড়িয়ে ছিলেন ঠিক তেমনি সঙ্গীত পরিচালকদেরও পছন্দের শীর্ষতে ছিলেন তিনি। নিজের সেই জনপ্রিয়তা পেছনে ফেলে দশ বছর আগে জহির আহমেদ পলাশকে বিয়ে করে পাড়ি জমান কানাডার মন্ট্রিয়ালে। সেখানেই স্বামী, সংসার ও দুই সন্তান আয়েশা, হামজাকে নিয়ে সুখেই আছেন তিনি। পহেলা বৈশাখ এলেই সারা দেশের গ্রাম বাংলায় পহেলা বৈশাখের গান ‘বাজেরে বাজে ঢোল আর ঢাক এলোরে পহেলা বৈশাখ’ গানটি দিনব্যাপী বাজতেই থাকে। কবির বকুলের লেখা ও শওকত আলী ইমনের সুর সঙ্গীতের এই গানটি সোনিয়ারই গাওয়া। তার একক অ্যালবাম ‘নিঠুর বাঁশি’র গান এটি। সঙ্গীতা থেকে প্রকাশিত ‘শুধু তোমাকেই ভালোবাসি’ অ্যালবামেরও গানও শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। রিয়েলিটি শো’র প্রতিযোগিতার সময় আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের লেখা ও সুর করা ‘অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন’, রেঁনেসা ব্যান্ডের ‘ও নদীরে তুই যাস কোথায় রে’ গান গেয়েও সেই সময় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। ২০১২ সালে সর্বশেষ যখন এসেছিলেন তখন বেশকিছু নতুন গান করেছিলেন এবং স্টেজ শো’তে অংশ নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা হয় সোনিয়ার। সোনিয়া বলেন, ‘ইচ্ছে আছে আগামী নভেম্বরে দেশে আসার। কারণ দীর্ঘদিন হলো দেশে আসা হয়না। পরিবারের অনেকের সঙ্গে দেখাও হয়না। খুব মিস করি আমার গানের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আমার মা, মাটি আর দেশকে, দেশের মানুষকে। মিস করি আমার সঙ্গীতময় জীবনের দিনগুলো। তবে এবার দেশে আসার পর নতুন গান করবো কী না তা এখনই বলতে পারছি না। কারণ এখন আমি আমার সংসার জীবন, স্বামী এবং সন্তানকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত।’ সোনিয়া জানান, কানাডা যাবার পর সেখানে বেশকিছুদিন স্টেজ শো’তে পারফর্ম করেছিলেন। তবে একসময় সংসার জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠার কারণে দীর্ঘদিন কানাডাতেও স্টেজ শো’তে আর পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে এটা সত্যি সোনিয়া ভক্তরা তাকে এবং তার গানকে মিস করে। বিশেষত বাংলাদেশের সঙ্গীাঙ্গন, সঙ্গীত পরিবার তার সুরেলা সুকন্ঠ’কে দারুণভাবে মিস করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন