২০১৭ সালের ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০১৭-২০১৯) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে আরো আগেই আগামী মেয়াদে নির্বাচন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। নির্বাচনতো দুরে থাক এখনও তফসিলই ঘোষণা করেননি বর্তমান কমিটি। অবশ্য এ নিয়ে সমিতির বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ভিন্ন ভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজেদের মতামত।
২০১৭ সালের ৫ মে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পর ১২ মে শপথ গ্রহণ করেন মিশা-জায়েদের কমিটি। এরপর ২৫ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তারা। সে অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ২৪ আগস্টের মধ্যে। আর তফসিল ঘোষণা করার কথা ছিল আরও তিন মাস আগে। কিন্তু এখনও তফসিল ঘোষণা করেননি সমিতির নেতারা। তবে মিশা সওদাগরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে খুব বেশি দিন আর দেরি নেই। এক সপ্তাহের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল রবিবার পহেলা সেপ্টেম্বর ইনকিলাবের সঙ্গে কথা বলেছেন বর্তমান কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আরও আগেই এই কাজটি করা হতো। পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু আগস্ট মাসের কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। আপনারা জানেন এই এফডিসি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর দান। আর শিল্পী সমিতির নির্বাচন মানে এফডিসিতে শিল্পীদের একটি মিলন মেলা। আমরা কিভাবে পারি এই শোকের মাসে সেই মিলন মেলা বসাতে? জাতীর পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই কিছুটা দেরি হয়েছে।’
মিশা আরও বলেন, ‘গত ঈদের আগে আমি আমার পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়। কারণ ওখানে আমার বড় ছেলে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে যাবার আগে আমি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মিটিং করি। তখনই সিদ্ধান্ত হয় আমরা আগস্ট মাসে কোনো ভাবেই নির্বাচন দিতে পারি না। আগস্ট মাস শেষ হয়েছে। এখন শুধু সময়ের ব্যপার নির্বাচনের। আশা করছি আগামী মাসের (অক্টোবর) মধ্যেই নির্বাচন হবে। এবং আবারও শিল্পীরা তাদের পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নেবেন।’
নির্বাচন নিয়ে কোনো কাঁদা ছোড়া ছুড়ি না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন মিশা সওদাগর। কারণ এই নির্বাচন জাতীয় কোনো নির্বাচন নয়, এটা শুধু মাত্র শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার নির্বাচন। আর শিল্পীদের স্বার্থরক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছেন বলেও মত দিয়েছেন মিশা।
এদিকে আগামী নির্বাচনের জন্য ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন কয়েকটি প্যানেল। চুপি সারে কেউ কেউ সমিতির ভোটাদের দ্বার প্রান্তে দৌড় ঝাঁপও শুরু করেছেন। এরমধ্যে ওমর সানি ও অমিত হাসানের প্যানেলটি প্রকাশ্যেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গতবার মিশা-জায়েদ প্যানেলের কাছে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন সানি-অমিত প্যানেল। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলাও করেন সানি। এছাড়া ওমর সানির স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমী কার্যনির্বাহী পদে জয়ী হওয়ার পরও পদত্যাগ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন