কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝেই আবারও যুক্তরাষ্ট্র ও সউদী আরব সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চলতি মাসের শেষের দিকে তিনি এই সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সউদীতে সফরে যাচ্ছেন তিনি। গত জুলাই মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে করেন। খবর পাকিস্তান টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগেই সউদী আরব সফরে যাবেন ইমরান খান। চলতি মাসের শুরুর দিকে রিয়াদে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত রাজা আলি এজাজের সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর সউদী সফরের বিষয়ে আলোচনা করেছেন সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর। তার আগে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ইসলামাবাদে সফর করেন আদেল আল জুবেইর এবং আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান। এই সফরে তারা পাক প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনা করেছেন। ইমরান খান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সউদীর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পরই দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সউদীতে সফর করেন।
সউদী সফরের পরে যুক্তরাষ্ট্রে সফর করবেন ইমরান খান। সেখানে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই তার প্রথম ভাষণ। যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দুইবার সাক্ষাৎ করবেন ইমরান খান। প্রথমবার এক সঙ্গে লাঞ্চ করবেন। দ্বিতীয়বার চা চক্রে দেখা হবে তাদের।
ইমরান খান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার বক্তব্যে কাশ্মীর ইস্যুকে গুরুত্ব দেবেন। গত ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়া হয়। তারপর থেকে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ভারতের এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে ইসলামাবাদ। প্রথম থেকেই কাশ্মীরি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমরান খান। এর আগে তিনি বলেছেন, বিশ্বের কাছে তিনি কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরবেন। এমনকি কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মুসলিম দেশগুলোকে ক্রমাগত আহ্বান জানিয়ে আসছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন