সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাটে 'অভিনব কৌশলে' হেরোইন বাজারজাত করার প্রাক্কালে দুই সহযোগী সহ তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল মালিক লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
বুধবার রাত আড়াইটার দিকে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিনের নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাফলং মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাড়ী থেকে এক কেজি হেরোইন পাচারকালে বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ তাদের আটক করা হয় তাদের।
থানা সূত্রে জানা যায়, হেরোইন বাজারজাতের পূর্ব মুহুর্তে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ, অফিসার (তদন্ত) হিল্লোল রায়, এসআই মুহিবুর রহমান, এসআই জিশু দত্ত, এএসআই রাজীব রায়সহ বিপুল সংখ্যক থানা পুলিশ জাফলং মোহাম্মদপুর এলাকার দুলাল মিয়ার বাড়ীটি ঘিরে ফেলেন পুলিশ।
স্থানীয়দের নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে সেলাই করা একটি স্কুল ব্যাগে কাপড়ের ভিতর থেকে এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি শাড়ী, কস্টেপ, হেরোইন প্যাকেটজাত করার জন্য ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ পলিথিন, সেলাই মেশিন, কাচি, হেরোইন সেবনের রাং (পলিথিন সাদৃশ্য) মালামাল জব্দ করা হয়।অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গোয়াইনঘাটের মাদক ব্যবসায়ী জাফলং পশ্চিম লাখেরপাড় গ্রামের হাজী আব্দুস শহিদ শহির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মালিক লিটন (৩২), গাইবান্ধা জেলার আলীর বাজার থানার মাছের ভিটা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে বর্তমান বহর কলোনি ইসলামপুর সিলেটের বাসিন্দা মাসুম আহমদ (২৯), গোয়াইনঘাটের জাফলং বাউরভাগ গ্রামের মৃত সুবল ব্যানার্জীর ছেলে সুহেল ব্যানার্জী (৩০)। তাদের গ্রেপ্তার করে তাৎক্ষনিক রাত ৪টার ভিতরে গোয়াইনঘাট থানা হাজতে রাখা হয়।
সকাল ১১টায় হেরোইন চালানসহ গ্রেপ্তারকৃতদের সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করে ব্রিফ করেন থানার অফিসার ইনচার্জ।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ জানান, গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। মাদক চোরাকারবারিসহ সব ধরনের অপরাধ অপতৎপরতার বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে বল্ওে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন