১। মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাফওয়ান, খেজুরবাগ, ঢাকা।
জিজ্ঞাসা : সিয়াম সাধনার মৌলিক দিকনির্দেশনার স্বরূপ বিশ্লেষণ করুন?
জবাব : সিয়াম সাধনার স্বরূপ হচ্ছে এই যে, মহান রাব্বুল আলামিন সিয়ামের হেদায়েত দ্বারা মানুষের মাঝে এমন এক রূহানী এবং নূরানী অনুকম্পনা প্রদান করেছেন যার বদৌলতে মানুষ শয়তানি স্বভাব হতে ফেরেশতা স্বভাবের অধিকারী হতে পারে এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন গোমরাহীর পর্দা উন্মোচন করে হেদায়েতের নূরের আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে উঠতে পারে। এই নূরের আলোকচ্ছটা মানুষকে নিচুতা ও লজ্জাহীনতার সুগভীর সমুদ্র হতে উদ্ধার করে তাদের উন্নতি ও উৎকর্ষের চরম শিখরে উন্নীত করতে পারে। তাদের অসংলগ্ন জীবনকে সভ্যতা ও নৈতিক পবিত্রতার দ্বারা আলোকিত করেছেন এবং তাদের মূর্খতা ও অজ্ঞতাকে জ্ঞান ও মনীষার আলোকে উদ্ভাসিত করেছেন, তাদের হীনমন্যতাও নিচুতাকে হেকমত ও বিজ্ঞানের আলোকে সমুজ্জ্বল করেছেন, তাদের অন্ধকারময় জীবনকে আলো এবং দূরদৃষ্টির দ্বারা মর্যাদাম-িত করেছেন এবং যিনি এই শ্রেণীর বৈপ্লবিক কর্মকা-ের মাধ্যমে তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার পথকে সমৃদ্ধ ও সুষমাম-িত করে তুলেছেন এবং যিনি সাধারণ ধুলো-বালিম-িত জীবন পরিক্রমাকে উন্নীত ও সমুন্নতি করে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন এই হাকীকতকে কোরআনুল কারীমে মহান রাব্বুল আলামিন এভাবে তুলে ধরেছেন। ইরশাদ হচ্ছে, “এবং (এই রমজানের রোজা) এ জন্য (ফরজ করা হয়েছে) যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা কর এবং তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত প্রদান করেছেন যেন তোমরা আল্লাহর শোকর-গুজারী আদায় করতে পারে।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৪) এই হেদায়েতে রাব্বানী এবং কিতাবে ইলাহীর অনুকম্পার ওপর শোকর-গুজারী আদায়ের গোপন রহস্য হচ্ছে এই যে, রমজান মাসের রাতসমূহ মুসলমানগণ কোরআনুল কারীমকে তারাবিহের নামাজে পরিপূর্ণ করেন এবং শ্রবণ করেন এবং এই মাসের শেষে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করে ঈদগাহের দিকে গমন করেন এবং খুশি ও আনন্দের মাঝে ঈদগাহে দুই রাকাত শোকরানা নামাজও আদায় করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন