রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তবে কি ছুটছে এগারোর গেরো!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

গতবারও যেখানে ফিটনেসের পরীক্ষা বিপ টেস্টের মান নির্ধারণী ৯ এবার এক লাফে সেটি গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১১। কঠোরভাবে শর্তও ছিল এর নীচে হলে জাতীয় লিগে খেলা যাবে না। নির্বাচকদের বেধে দেওয়া এমন নিয়মের পর দুর্ভাবনায় পড়েছিলেন জাতীয় দল ও বিসিবির অন্যান্য দলের বাইরে থাকা স্থানীয় ক্রিকেটাররা। ফিটনেসে বেঁধে দেওয়া মানদ- আনুষ্ঠানিকভাবে কমানো হয়নি। তবে সেখানে ছাড় দেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে। ফিটনেসের পাশাপাশি আগের আসরগুলোর পারফরম্যান্সের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই ক্রিকেটারদের দলে রাখার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে নির্বাচকদের। গতকাল ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের সমন্বয় সভার পর বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, দুজনেই স্পষ্ট করলেন নিয়মিত পারফর্মারদের ক্ষেত্রে বিপ টেস্টে কড়া নিয়ম শিথিল করতে যাচ্ছেন তারা।

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবার কথা থাকলেও দিনক্ষণ নিয়ে কিছুটা ঘোলাটে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন কেটেছে ক্রিকেটারদের। তবে এখানেও পাওয়া গেছে নিশ্চিত তারিখ, ১০ অক্টোবর থেকে দেশের চার ভেন্যু- মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, ফতুল্লা, রাজশাহী ও খুলনায় শুরু হবে এবারের জাতীয় লিগ। তার আগে ১ অক্টোবর ক্রিকেটাররা অংশ নেবেন বিপ টেস্টে। সেখানে নূন্যতম স্কোর দেওয়া হয়েছিল ১১। তবে তা যে কড়াকড়িভাবে পালন করা হবে না সভা শেষে জানান বিসিবি সিইও, ‘টার্গেট দেয়া হয়েছে বিপ টেস্টে ১১। আমরা ফিটনেসের উপর প্রাধান্য দিচ্ছি। এখন নির্বাচকরা যদি কাউকে অন্যভাবে বিবেচনা করেন, তাহলে করতে পারেন। ফিটনেস নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে। এটি খেলোয়াড়দের পারফর্ম্যান্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

সিইওর কথা অনুযায়ী নির্বাচক হাবিবুল আরও খোলাশা করে জানান, নিয়মিত পারফর্মারদের কেউ যদি বিপ টেস্টে ১১ নাও করতে পারেন, তবু তারা জাতীয় লিগে বিবেচিত হবেন, ‘আমরা একটা মান ঠিক করার চেষ্টা করছি। গতবার ৯ ছিল, এবার ১১ করেছি। আমার মনে হয় তারা সবাই পেশাদার ক্রিকেটার। সবারই ফিটনেস ভাল পর্যায়ে রাখা উচিত। কিন্তু যারা পারফফর্মার তারা যদি ১১ করতে না পারেন তাহলেও বিবেচনা করা হবে। তবে এটা কোন বেঞ্চমার্ক রাখব না। আমরা তখন চিন্তা করব কত করলে দেয়া যাবে।’

আর শুরু থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া এসেছে প্রচুর। এমনিতে বিপ টেস্টে ‘১১’ খুব বেশি স্কোর নয়। তবে বাংলাদেশে জাতীয় দলের কোনো কোনো ক্রিকেটারও অনেক সময় ১১ স্কোর তুলতে পারেন না। জাতীয় লিগে এমন অনেক ক্রিকেটার খেলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা জাতীয় দল বা এর আশেপাশে নেই। বছর জুড়ে তাদের ফিটনেস ধরে রাখার কোনো প্রোগ্রাম বিসিবির নেই। বিভাগীয় পর্যায়ে নেই ভালো জিম বা সুযোগ-সুবিধা। তারপরও হুট করে ন্যুনতম স্কোর ১১ নির্ধারণ করায় সমালোচনা করছিলেন ক্রিকেটারদের অনেকে। এছাড়াও বিপ টেস্টে কেবল শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয়। ক্রিকেটে ম্যাচ ফিটনেসের আলাদা গুরুত্ব আছে বরাবরই। বিপ টেস্টে ভালো করা অনেকের অনেক সময় ম্যাচে ব্যাটিং বা বোলিং ফিটনেস যথেষ্ট থাকে না। বিপ টেস্টে ভালো স্কোর না করা কারও ব্যাটিং-বোলিং ফিটনেস হতে পারে ভালো।
এবার ফিটনেসের উপর জোর দিয়ে সংস্কৃতি বদলের পরিকল্পনা নিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে শারীরিক ফিটনেস আর ম্যাচ ফিটনেসের মধ্যে যে আছে তফাত। কোন কোন ক্রিকেটার বিপ টেস্টে ১১ তুলতে না পারলেও ম্যাচ ফিটনেসে আবার তারা থাকতে পারেন এগিয়ে, হতে পারেন সেরা পারফর্মার। হাবিবুলও সেটা মানেন। তবে সবার আগে তাদের বিবেচনায় শারীরিক ফিটনেসই, ‘ম্যাচ ফিটনেস আর বিপ টেস্টে অবশ্যই পার্থক্য আছে। তবে আপনি যদি ফিট না হন তাহলে ম্যাচ ফিটনেস পড়তে বাধ্য। ফিটনেস ও ফিল্ডিং আমরা উন্নতি করতে চাই।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন