শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঝালকাঠিতে আত্মসমর্পণ করা মাদক ব্যবসায়ীরা ফের সক্রিয়

মু. আব্দুর রশীদ, ঝালকাঠি থেকে : | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ঝালকাঠিতে আত্মসমর্পণ করা মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে কয়েকজন আবারো সক্রিয় হয়েছে। পুনরায় তারা মাদক ব্যবসা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আত্মসমর্পণের পরেও যারা মাদক ব্যবসা শুরু করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

জানা যায়, পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার শাকিল খান সেন্টু (৪৫) শহরের মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত। মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে পুলিশের কালো তালিকায় ছিলো তার নাম। ঝালকাঠিতে তার নামে রয়েছে ১৫টি মামলা। এর মধ্যে ১৪টি রয়েছে মাদক মামলা এবং একটি অস্ত্র আইনে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য যখন হন্য হয়ে খুঁজছিল, ঠিক সেই সময় পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তুতি নেয় সেন্টু।

গত ২৭ জুলাই ঝালকাঠি পুলিশ লাইন্সে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলামের হাত থেকে ফুল নিয়ে সে মাদক ছেড়ে আলোর পথে আসার ঘোষণা দেয়। ওই অনুষ্ঠানে সে বক্তব্য রাখে। বক্তব্যে সে আর কোনদিন মাদক ব্যবসা করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ প্রতিশ্রুতির আড়ালে ছিল তার অন্য পরিকল্পনা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায়। প্রায় তিন মাস পুলিশের নজরের বাইরে থেকে সে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

শুধু সেন্টু নয়, আত্মসমর্পণ করা মাদক ব্যবসায়ী পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার আজিজ হাওলাদার, তার ছেলে শান্ত হাওলাদার ও রানা মৃধাও শুরু করেছেন মাদক ব্যবসা। এরা প্রত্যেকেই শপথ নিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু আলোর পথে না এসে তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জানায়, ২৭ জুলাই পুলিশের এক সুধি সমাবেশে ২৮ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করে। যারা আত্মসমর্পণ করেছিল, পুলিশ তাদের নজরদারিতে রাখে। এর মধ্যে চারজন আবারো মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে ঝালকাঠির গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক সম্রাট শাকিল খান সেন্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে ডিবি পুলিশ পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকায় অপর একটি অভিযানে গিয়ে ৪০পিস ইয়াবাসহ আজিজ হাওলাদার ও তার ছেলে শান্ত হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও শহরের মুজিব সড়ক থেকে রানা মৃধা নামে অপর এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এরা তিনজনেই স্বীকার করেছেন, সেন্টুর কাছ থেকে তারা ইয়াবা কিনে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি শুরু করেছেন।

ঝালকাঠির গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এনামুল হোসেন বলেন, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে। যারা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল, তাদেরও নজরে রেখেছে। এদের মধ্যে নতুন করে অনেকে মাদক ব্যবসা শুরু করেছে, পুলিশ তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন