মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চমেকে আবরারের মতোই খুন হন আবিদ

সাজা পায়নি কেউ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বুয়েটের আবরার ফাহাদের মতো চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসেও পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবিদুর রহমান নামে এক মেধাবী শিক্ষার্থীকে। চমেকের ৫১তম ব্যাচের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ৩য় বর্ষের এ ছাত্রকে ছাত্রদল কর্মী সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তবে আলোচিত এ খুনের মামলার কোন আসামির সাজা হয়নি। ১২ আসামি ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বেকসুর খালাস পেয়ে গেছেন।
বুয়েট ছাত্র আবরারকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে চমেক ক্যাম্পাসসহ চট্টগ্রামের সর্বত্রই আলোচনায় এসেছে আবিদুর রহমানের মামলার রায়।
বিগত ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর পিটুনির শিকার হয়ে দুইদিন পর ২১ অক্টোবর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবিদ। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মধ্যম বড়ইতলী গ্রামের মৃত নুরুল কবির চৌধুরীর ছেলে। এ ঘটনায় আবিদের মামা নেয়ামত উল্লাহ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রসংসদের ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
তারা হলেন- তৎকালীন ছাত্র সংসদের ভিপি মফিজুর রহমান জুম্মা, চমেক ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক বিজয় সরকার, সহ সাধারণ সম্পাদক হিমেল চাকমা, ফেরদৌস রাসেল, শান্ত দেবনাথ, মাহাফুজুর রহমান, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মোস্তফা কামাল, রাশেদুর রহমান সানি ও সালমান মাহমুদ রাফসান।
গত ১০ জুলাই আবিদ হত্যা মামলার রায়ে ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে সব আসামিকে খালাস দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অশোক কুমার দাশ বলেন, সাক্ষীরা কোনো আসামি শনাক্ত করতে পারেননি। তারপরও রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু সাক্ষ্য ও জেরায় আসামিদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় সবাইকে খালাস দেওয়া হয়।
তবে এ রায়ে অসন্তুষ্ট আবিদের পরিবার। কখন রায় ঘোষণা হলো তা তারা জানতেও পারেননি বলে অভিযোগ করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Tanvir Shahadat ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
ওহ আল্লাহ! ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা গোটা শিক্ষাঙ্গনকে কিভাবে জাহান্নাম বানিয়ে রেখেছে।
Total Reply(0)
সোয়েব আহমেদ ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
ছাত্র নামধারী এই বরবর, জালিম, যন্তু জানোয়ারদের হাত থেকে কবে মুক্তি মিলবে???
Total Reply(0)
সাইফ আহমেদ ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
কিভাবে সাজা হবে। ছাত্রলীগ করলে তো তার সাত খুন মাফ।
Total Reply(0)
মেঘদূত পারভেজ ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
এজন্যই তো ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরা যাচেছ ন। কারণ ওরা জানে ওদের কিছুেই করা হবে না।
Total Reply(0)
তাসলিমা বেগম ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের ওপর ভর করে ক্ষমতায় আসার জন্য ওদের সব বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। ফলে ওদের আর নিয়ন্ত্রল করা যাচ্ছে না।
Total Reply(0)
মিরাজ আলী ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
এই সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে আচিরেই সকল ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হোক।
Total Reply(0)
মোঃ তৈয়বুর রহমান ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:০০ এএম says : 0
জানি,আবরার হত্যা নিয়ে এখন যতই মানববন্ধ, শোকর‍্যালী, মিছিল -মিটিং, টকশো যাই ই হোক না কেনো কয়েক বছর পর হয়ত এরও কিছু কিছু হবে না। আসামিরা পাবে বেকুসুর খালাস।
Total Reply(0)
shaik ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:৫৪ এএম says : 0
Allah oder BECHAR korbay. Ora o OPO GHAT a Mara Jabay..in sha Allah
Total Reply(0)
মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:৪২ পিএম says : 0
আট বছর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আবিদ হত্যা। আর বুয়েটের আবরার হত্যা হুবহু একই। আট বছরের ভিতর আবিদ হত্যার আসামিরা বেকসুর খালাস পেলে। আট বছর পর আবরার হত্যার আসামিরা বেকসুর খালাস পাবে না এর কোন গ্যারান্টি আছে?
Total Reply(0)
মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:৪২ পিএম says : 0
আট বছর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আবিদ হত্যা। আর বুয়েটের আবরার হত্যা হুবহু একই। আট বছরের ভিতর আবিদ হত্যার আসামিরা বেকসুর খালাস পেলে। আট বছর পর আবরার হত্যার আসামিরা বেকসুর খালাস পাবে না এর কোন গ্যারান্টি আছে?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন