স্টাফ রিপোর্টারঃ ২০০৯ সালে ‘বলবো কথা বাসর ঘরে’র মতো সুপার-ডুপার হিট সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহ মো. সংগ্রাম। তারপর দীর্ঘ দিন চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে ছিলেন। দীর্ঘ দিন পর দীর্ঘ প্রক্রিয়া অবলম্বনের মধ্য দিয়ে তিনি আবারও একটি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। তার এবারের সিনেমার নাম ‘বাসর হবে মাটির ঘরে’। সিনেমাটির গল্প ও গান তৈরি করতে তিনি অনেকটা সময় ব্যয় করেছেন। চরিত্র নির্বাচনেও অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছেন। অবশেষে একটি একটি করে গান রেকর্ডিং শুরু করেছেন। যুক্ত করছেন দেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও পরিচালককে। ইতোমধ্যে আলাউদ্দিন আলীর সঙ্গীত পরিচালনায় সিনেমাটির প্লেব্যাক করেছেন রুনা লায়লা, সুবীর নন্দী। তাদের গাওয়া গানটি লিখেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। তিনি প্রায় ২০ বছর পর সিনেমার জন্য গান লিখেছেন। তার কাছ থেকে গানটি আদায় করতে সংগ্রামকে অনেক পরিশ্রম সংগ্রাম করতে হয়েছে। কাকে দিয়ে গাওয়াতে হবে, কে গানের সঙ্গীত পরিচালনা করবে ইত্যাদি নানা প্রশ্নের জবাব এবং তা ঠিক করে সংগ্রামকে সৈয়দ হকের কাছ থেকে গান নিতে হয়েছে। একটি গানের জন্য এত পরিশ্রম এসময়ের কোনো নির্মাতাকে করতে দেখা যায় না। সংগ্রাম করেছেন। অবশেষে গানটি রুনা লায়লা ও সুবীর নন্দীকে দিয়ে গাইয়েছেন। আরেকটি গান গাইয়েছেন মমতাজকে দিয়ে। এভাবে পরিশ্রম করে একটির পর একটি গান রেকর্ড করে শূটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার প্রস্তুতি দেখে সিনেমার সোনালী যুগের সিনেমার প্রস্তুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আগে একটি গল্পের জন্য নির্মাতারা মাসের পর মাস ব্যয় করতেন। এমনি একটি গানের জন্যও দিনের পর দিন সময় দিতেন। চরিত্র অনুযায়ী শিল্পী নির্বাচনেও অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করতেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে শূটিংয়ে যেতেন। এখন এ ধরনের প্রস্তুতি দেখা যায় না বললেই চলে। সংগ্রামের কাজের ধরন দেখে মনে হচ্ছে তিনি সোনালী যুগের কাজের ধরণ ধারণ করে চলেছেন। সংগ্রাম বললেন, একটি ভাল সিনেমা তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছি। কোনো ধরনের ত্রæটি যাতে না থাকে, এমনভাবে কাজ করছি। আমার চেষ্টার কারণটাই হচ্ছে ভাল কিছু করা। এজন্য সাধ্যের মধ্যে যা কিছু করণীয় তা করছি। তিনি বলেন, গল্পের প্রেক্ষপটটি নেয়া হয়েছে একটি পতিতালয়কে কেন্দ্র করে। সেখানেই গল্প বিস্তার লাভ করে। এই গল্পের চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। অনেক ভেবে চিন্তে অন্যতম প্রধান দুটি চরিত্রে দুজনকে নির্বাচন করেছি। একজন ছোট পর্দার মোশাররফ করিম। আরেকজন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। মোশাররফ করিমের চরিত্রটি পতিতালয়ের মদ বিক্রেতা। আর মৌসুমী পতিতা চরিত্রে অভিনয় করবেন। আরও বেশ কিছু চরিত্র রয়েছে যেগুলো ইতোমধ্যে ঠিক করেছি। শূটিংয়ের কাজটি অনেকটা গুছিয়ে এনেছি। আশা করছি, ঈদের পর শূটিংয়ে যেতে পারব। সংগ্রাম বলেন, সিনেমার বাজার মন্দা কি চাঙ্গা এটা ভেবে সিনেমা নির্মাণ করছি না। আমি একটি ভাল ও উপভোগ্য সিনেমা নির্মাণে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন