মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

মৌসুমী গুণী অভিনেত্রী এবং অনেক উঁচুমনের মানুষ-মিশা সওদাগর

মারুফ সরকার: | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আগামী ২৫ অক্টোবর। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর ও চিত্রনায়িকা মৌসুমী। মিশা সওদাগর বলেন, এটা কিন্তু প্রতিদ্ব›দ্বীতা নয়। এখানে চার-পাঁচশো মেম্বার আছে তাদের কাছে আমি বা মৌসুমী একই সমান। মৌসুমী গুণী অভিনেত্রী, অনেক উচ্চমার্গীয় মনের মানুষ। এছাড়াও সে অনেক গুণে গুণান্বিত। উনি শিল্পী সমিতির সেবা করতে চান। এটা শিল্পীদের জন্য ভালো খবর। তবে আমাদের বর্তমান কমিটি শিল্পী সমিতিকে এমন একটা অবস্থানে নিয়ে গেছে যা দেখে এখন অনেকেই নেতৃত্ব দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আমরা যে মানবিক কাজের পরিচয় সাক্ষর রেখেছি, সে কাজের সাক্ষী তারাও হতে চায়। আমি বরাবরই বলে আসছি, ভোটাররা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন আমি ফুলের মালা পরবো, আর যদি মৌসুমী জয়ী হয় তাকে আমি ফুলের মালা পরিয়ে দেবো। এখানে হার-জিৎ ব্যাপার না। নির্বাচন করার উদ্দেশ্য শিল্পীদের সেবা করা। মিশা বলেন, শিল্পী সমিতি একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, এখানে সময় দিতে হবে, শিল্পীদের সেবা করতে হবে। মৌসুমী যদি নির্বাচিত হয়ে আসে তাকে স্বাগতম জানাবো। তিন ব্যস্ত মানুষ, যদি সমিতির পেছনে সময় দিতে পারেন ভালোই হবে। আর শিল্পীরা যদি মনে করেন, উনার সেবা নেবেন সে রাস্তাও খোলা। আমরা চাই, একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। প্রত্যাশা একটাই- যারাই কমিটিতে আসুক তারা যেন চলচ্চিত্রের স্বার্থে কাজ করেন। নির্বাচনের শুরু থেকে মৌসুমী একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, তার নির্বাচনের ক্ষেত্রে নাকি বাঁধা দেয়া হচ্ছে, অদৃশ্য চাপ প্রয়োগও করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মিশা সওদাগর বলেন, আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই, একজন শিল্পীকে সৎ এবং সাহসী হতে হবে। শিল্পীদের বড় শক্তি লাখো লাখো ভক্ত। মৌসুমীর মতো শিল্পীকে কেউ আঙ্গুল তুলে কথা বলবে এমন সাহস কারো নেই। তবে কারা তাকে বাধা দিচ্ছে তা তাকেই মুখ ফুঁটে বলতে হবে। কে এই অদৃশ্য শক্তি? নাম না বলে বিচ্ছিন্নভাবে কথা বললে এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি থাকে না। তার অভিযোগ ভিত্তিহীনই রয়ে যাবে। শিল্পীদের উদ্দেশে মিশা বলেন, শিল্পীদের কাছে কেউ সুপারস্টার নয়, সুপারস্টার দর্শকদের কাছে। সমিতিতে যখন বসবো সবাই সমান। তবে সিনিয়রদের সম্মান সবার আগে করতে হবে। যে যতো বড়ই সুপারস্টার হোক না কেন একজন সিনিয়র শিল্পীকে তার প্রাপ্ত সম্মান দিতেই হবে। আমি যতোই সভাপতি হইনা কেনো ফারুক, আলমগীর, সোহেল রানা, ববিতা, সুচন্দাদের কাছে সবসময়ই জুনিয়র। মিশা বলেন, পুনরায় নির্বাচিত হলে দুঃস্থ শিল্পীদের জন্য অল্প জায়গার মধ্যে হলেও আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সিঙ্গেল যে হলগুলো রয়েছে সেগুলো কিভাবে উন্নত করা যায় সে ব্যাপারে হল মালিকদের সহায়তা করা হবে। কারণ হল বাঁচলেই সিনেমা বাঁচবে, সিনেমা বাঁচলেই শিল্পীরা বাঁচবে। শিল্পীদের জন্য একটি ফান্ড করা হবে। কোনো শিল্পী যদি বিপদে পড়ে তাহলে ওই ফান্ডের ইন্টারেস্ট থেকে সহযোগিতা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন