কুর্দিশ যোদ্ধারা সীমান্ত থেকে সরে না গেলে ফের পুরোদমে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। অস্ত্রবিরতির সুযোগ দেয়া সত্তে¡ও শুক্রবার সেখানে বিচ্ছিন্ন লড়াই চলছে বলে খবরে বলা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এরদোগান তাকে জানিয়েছেন যে অঞ্চলটিতে সামান্য স্নাইপার ও মর্টারের গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যা অচিরেই কমে যাবে। ট্রাম্পকে এক ফোনকলে এরদোগান বলেছেন, তিনি অধীর আগ্রহ নিয়েই অস্ত্রবিরতি কিংবা হামলা বন্ধ রাখতে চান। কুর্দিস্থান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) মুখপাত্র মোস্তফা বালী অভিযোগ করেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বৃহস্পতিবারের সফরে অস্ত্রবিরতি সত্তে¡ও সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি সত্তে¡ও তাদের যোদ্ধা, বেসামরিক বসতি ও হাসপাতালের মতো স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে বিমান ও গোলাবর্ষণের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোগান বলেন, যদি মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়, তবে নিরাপদ অঞ্চলের ইস্যুটির মীমাংসা হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা যদি ব্যর্থ হয়, তবে অভিযান শুরু হবে। বৈরিতার অবসান মানেই হচ্ছে কোনো ধরনের যুদ্ধ ছাড়াই তুরস্কের ভূখন্ডগত লক্ষ্য হাসিল হবে। কিন্তু কুর্দিস্থান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তুরস্কের ছায়া বাহিনী অব্যাহত রয়েছে। এরদোগান বলেন, সিরিয়ার উত্তর প‚র্বাঞ্চল থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের হটিয়ে নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠা করা না হলে আগামী মঙ্গলবার বিকালেই নতুন করে অভিযান শুরু করবে আঙ্কারা। চুক্তির স্বার্থেই ১৮ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১২০ ঘণ্টার জন্য সেনা অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও কুর্দি বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে এ হুঁশিয়ারি জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের হটাতে সেনা অভিযান পরিচালনা করে তুরস্ক। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আঙ্কারা পাঁচ দিনের জন্য ওই অভিযানে বিরতি টানতে সম্মত হয়, এই শর্তে যে, এর মধ্যে কুর্দি যোদ্ধারা নিরাপদে ওই অঞ্চল থেকে সরে যাবে। রয়টার্স, আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন