শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘ভোলায় বিক্ষোভে পুলিশের গুলি পৈশাচিকতাকে হার মানিয়েছে’

সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ কাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভোলায় আল্লাহ ও রাসুল (স.) এর অবমাননার প্রতিবাদে করা বিক্ষোভে পুলিশের নির্বিচারে গুলি পৈশাচিকতাকে হার মানিয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা ও থানায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দলটি। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ভোলার হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বিএনপির উদ্যোগে আগামী ২৩ অক্টোবর ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় এবং সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, জনগণকে যারা অবজ্ঞা করে তাদের পরিণতি শুভ হয় না। গণমানুষের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। যথেষ্ট হয়েছে। ভোলার গণহত্যার বিচার করতে হবে। ভোলার জনগণের দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে।
ড. মোশাররফ বলেন, আমি ভোলার সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণে হত্যাকান্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তিনি বলেন, এই দেশ অনাদি কাল হতে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির এক অনুপম নিদর্শন হয়ে আছে। এখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের শান্তিপূর্ণ বসবাস। কোন ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা বা কারো ধর্মবিশ্বাস নিয়ে অনাকাঙ্খিত মন্তব্য করা দেশের আবহমানকালের ঐতিহ্যে নেই। আমরা মনে করি, ভোলার ঘটনা প‚র্বপরিকল্পিত। যে কারণে ভোলাকে রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়িদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।
ভোলার ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং যারা আহত হয়েছে তাদের দ্রæত আরোগ্য কামনা করে মোশাররফ বলেন, মহান আল্লাহ ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামকে কট‚ক্তির প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও ভয়াবহ পৈশাচিকতায় চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। এই প্রতিবাদী মানুষের ওপর পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে রক্তাক্ত হয় ভোলা। যে কোন ধর্ম সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করলে মানুষের বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা নতুন কিছু নয়, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, স্থানীয় প্রশাসন সুকৌশলে ভোলায় মানুষের প্রতিবাদটিকে সা¤প্রদায়িক রূপ দেয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত চালাচ্ছে। ভোলা হত্যাকান্ডের পর সরকার ও প্রশাসনের বক্তব্য এবং মন্তব্য শুনলে অনুধাবন করতে পারবেন তারা দুঃখ প্রকাশ না করে হত্যাকান্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে আর প্রধানমন্ত্রী তার স্বভাবসুলভ ভাষায় প্রতিবাদকারীদের প্রতি হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
মোশারফ আরও বলেন, এই ভোটারবিহীন সরকারের দুঃশাসনে মানুষের জীবনের মূল্য এখন পশুপাখির মূল্যের চেয়ে কমে গেছে। বিদেশে অনেক বড় বড় বিক্ষোভে পুলিশকে একটি বুলেট খরচ না করেও ধৈর্য সহকারে মোকাবেলা করতে দেখেছি আমরা। আর এই দেশে কোন ঘটনা ঘটলেই অসহিষ্ণু আচরণ করে পুলিশ বাহিনী, ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় প্রতিনিয়ত অস্থির সরকার এবং তাদের রক্ষাকারী বাহিনী। বিক্ষোভ করতে দিলে কি সরকারের পতন হয়ে যেতো।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন