ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
তারা দ্রুত রায় কার্যকরের পাশাপাশি তাদের জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে তার সঙ্গে ফের দেখা করতে চান তারা।
নুসরাতের মা শিরীন আক্তার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি পুনরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়ের পর ফেনীর সোনাগাজীর নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের রায়ের প্রতিক্রিয়া জানান শিরীন আক্তার।
তিনি বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রীর কারণে মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার পেয়েছি। তার সঙ্গে আবার দেখা করেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, মেয়েটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। এর সুষ্ঠু বিচার হবে।
এ সময় তিনি এই রায় উচ্চ আদালতে বহাল এবং দ্রুত কার্যকরের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নুসরাতের বাবা একেএম মুসা সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেয়ার দাবি জানান তিনি।
এ সময় তদন্ত দ্রুত শেষ করায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান মুসা।
মামলার বাদি নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, রায়ে আমরা শতভাগ সন্তুষ্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়ীত্ব নেয়ায় আমার বোন হত্যার ন্যায় বিচার চেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্রুত সময়ে আমাদেরকে ন্যায় বিচার উপহার দিয়েছেন। এজন্য আমরা তার প্রতি অকৃতজ্ঞ। রায় ঘোষণার পর আদালতে আসামিরা তাকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। দোষীরা আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। আমরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
ইতিমধ্যে আমাদের নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই জন্য ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবীকে ধন্যবাদ জানাই, বলেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ মামলার ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। এই টাকা নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন