বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

মেয়েদের ওভারিয়ান সিস্ট

ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ওভারিয়ান সিস্ট মেয়েদের জন্য খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। অনেক মেয়েই এই সমস্যায় কষ্ট পায়। কিন্তু সহজে বাইরে বলতে চায়না। ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট যেকোন বয়সী নারীদেরই কিন্তু হতে পারে। তবে ৫০ বছর বয়সের মধ্যেই সাধারনত এই রোগ দেখা দেয়। অর্থাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে যাবার আগে এই অসুখ বেশি হয়। ওভারি বা ডিম্বাশয়ে পানিপূর্ণ থলিকে সিস্ট বলা হয়। বিভিন্ন ধরণের সিস্ট মেয়েদের হতে পারে। বেশিরভাগ ওভারিয়ান সিস্ট কিন্তু বিপদজনক নয় অর্থাৎ কোন চিকিৎসারই প্রয়োজন হয় না। তবে কিছু সিস্ট থাকে যা থেকে বিপদ হতে পারে।

ওভারিয়ান সিস্ট হলে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। যদিও সবার একই রকম লক্ষণ থাকবেনা। যেসব লক্ষণ কমন তার মধ্যে আছে-
১। পেটে ব্যথা হওয়া
২। প্রস্রাবের সমস্যা
৩। বমি বমি ভাব
৪। মাসিক বা ঋতুস্রাবের সমস্যা
৫। ওজন বৃদ্ধি
৬। পিঠের ব্যথা
৭। পেটের সমস্যা
৮। অনেক সময় সিস্ট ফেটে যায় । তখন মারাত্মক সমস্যা হয়।
৯। পায়খানা করতে নানা সমস্যা হতে পারে।
১০। তলপেট ফুলে যেতে পারে।
সাধারণত আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ল্যাপারোস্কোপি কারও কারও লাগতে পারে। তবে ভাল এবং আলট্রাসনতে অভিজ্ঞ চিকিৎসক সহজেই এই রোগ নির্ণয় করেন।
সিস্ট ছোট হলে তাকে বলে ফাংশনাল সিস্ট। এসব ছোট সিস্ট অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। ৩ মাস পরে আলট্রাসনোগ্রাফি করলে দেখা যায় ওটা চলে গেছে। তবে যদি আলট্রাসনোগ্রাফিতে সিস্টের মধ্যে সমস্যা পাওয়া যায় এবং তা যদি ৩ মাসের মধ্যে না চলে যায় তবে ওষুধ খেতে বা অপারেশন করতে হতে পারে। এমন সমস্যা হলে গোপন না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। সচেতনতাই আমাদের অনেক জটিলতা থেকে বাঁচাতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন