ব্রেক্সিট ইস্যুতে এমপিদের আয়ত্তে আনতে না পারায় ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। নতুন এ কৌশলের অংশ হিসেবে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আগামী ১২ ডিসেম্বরের এ সাধারণ নির্বাচন মেনে নিলেই কেবল ব্রেক্সিট পেছানোর ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।
জনসন বলেন, ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর জন্য ইইউকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে, তাতে ৩১ অক্টোবরের পর সময়সীমা বাড়াবে বলে মনে হচ্ছে। তবে আমি সময় বাড়ানোর পক্ষপাতি নই।
বিরোধীদলের ব্রেক্সিট পেছানোর দাবির পর, বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনকে চিঠি দেন বরিস। যেখানে তিনি বলেন, পার্লামেন্টকে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের জন্য আরো সময় দেবেন তিনি।
কিন্তু এমপিদেরকে আগামী ১২ ডিসেম্বরের আগাম নির্বাচনে সমর্থন দিতে হবে। চিঠিতে, আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টের ভোটেই এ প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ার জন্য লেবার পার্টিকে আহ্বান জানিয়েছেন জনসন। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর শর্তে এখন পর্যন্ত রাজি হয়নি বিরোধীদল।
তাদের বক্তব্য, যতক্ষণ না চুক্তিহীন ব্রেক্সিট করার ঝুঁকি থাকে, এর আগ পর্যন্ত এসব শর্তে সমর্থন দিবেন না তারা। ফলে, চলতি বছর ব্রেক্সিট ইস্যুর সমাধান আদৌ হবে কি-না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
অপরদিকে ধারণা করা হচ্ছে, ব্রেক্সিটে তিনমাস দেরি করার সিদ্ধান্ত শুক্রবারই জানাবেন ইইউ নেতারা। আর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের নেতা জ্যাকব রেস মগ এমপিদেরকে বলেছেন, সরকার আগামী অধিবেশনেই সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাব পেশ করবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ফিক্সট-টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট এর অধীনে নির্বাচন হওয়ার আগে দুই-তৃতীয়াংশ এমপিকে অবশ্যই নির্বাচনের পক্ষে ভোট দিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন