শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জোরদার হচ্ছে খালেদা জিয়া মুক্তি আন্দোলন

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে আইনজীবী সমাবেশ আসতে পারে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি

রফিক মুহাম্মদ | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। সারাদেশের তৃণমূল নেতাদের চাপে কেন্দ্রীয় নেতারা এবার চেয়ারপার্সনের মুক্তির লক্ষে কর্মসূচি নিতে বাধ্য হচ্ছে। ইতোমধ্যে পেশাজীবীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে আইনজীবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বৃহত্তর সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপিও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, সভা-সমাবেশের পাশাপাশি প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ৭৫ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য গত এপ্রিল থেকে তিনি রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভাল নেই বলে দলীয় এমপি ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে বিএনপি দলীয় সাতজন সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এছাড়া তার বোন, ভাই এবং স্বজনরা দুই দফা দেখা করেছেন। গত ১১ অক্টোবর এবং সর্বশেষ গতকাল বোন সেলিমা ইসলাম বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাত শেষে তিনি জানান, তার (খালেদা) শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি খারাপ। নিজ হাতে খাবারও তুলে খেতে পারছেন না। অন্যের সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতেও পারেন না। দলীয় প্রধানের এ অবস্থায় সারাদেশের নেতাকর্মীরা উৎকণ্ঠিত। সবাই চাচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি লক্ষে দ্রæত আন্দোলন কর্মসূচি।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ২০ মাস যাবত কারাবন্দি রয়েছেন। তার মুক্তির জন্য বিএনপি এখন পর্যন্ত রাজপথে কোনো জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। এটা কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যর্থতা বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে বিএনপি বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের সমাবেশ করেছে। প্রতিটি সমাবেশেই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল ছিল। সবখানেই চেয়ারপার্সনের মুক্তির লক্ষে জোরালো কর্মসূচি ঘোষণার দাবি ছিল কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মসূচি না দিলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আন্দোলন শুরু করবে অনেক সমাবেশে এমন বক্তব্যও অনেকে দিয়েছেন। রাজপথে মিছিল সমাবেশ করার সাহস না থাকলে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি দেয়ারও দাবি জানান অনেক নেতা। তারা বলেন, আমাদের নেতা, গণতন্ত্রের মা, তিনি যদি মিথ্যা মামলায় প্রায় দুই বছর কারাগারে বন্দি থাকতে পারেন তাহলে আমরা কেন স্বেচ্ছায় কারাগারে যেতে পারব না। তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপের মুখে কেন্দ্রীয় নেতারা এবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আটকের পর তার আইনজীবীরা সব সময় বলে আসছিলেন যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। তবে সময় যত গড়ায় আইনী প্রক্রিয়ায় তার মুক্তির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সিনিয়র আইনজীবী এবং দলের নীতিনির্ধারকরা বুঝতে পারেন আন্দোলন ছাড়া বেগম জিয়াকে শুধুমাত্র আইনী প্রক্রিয়ায় মুক্ত করা সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে এ সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারাবন্দি করে রেখেছে। তাই তাকে শুধুমাত্র আইনী প্রক্রিয়ায় মুক্ত করা সম্ভব নয়। তাকে মুক্ত করতে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমান উল্লা আমান বলেন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। ম্যাডামকে (বেগম খালেদা জিয়া) মুক্ত করতে আমরা এবার সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিক্ষোভ-মিছিল, সভা-সমাবেশের পাশাপাশি প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি নেয়া হবে।

স¤প্রতি দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতে খালেদা জিয়া মুক্তির বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একজন এমপি বলেন, জামিনের বিষয়ে কথা এলে তিনি বলেন, জামিন হবে। ওরা (সরকার) আমাকে কতদিন আর আটকে রাখবে। সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ এ বিষয়ে বলেন, নেত্রীর মতো আমরাও আশাবাদী তার মুক্তি হবে। তবে সেটা যত আগে আমরা করতে পারব তার জন্য তত ভালো হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া কারাবন্দি আছেন। পুরান ঢাকায় পুরনো কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি কারা হেফাজতে এই হাসপাতালের কেবিন বøকের ৬২১ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
Reshel Nur ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 1
কোন ঈদের পরে, কারন তাদের আন্দোলন ঈদের পরে হয়
Total Reply(0)
Md Kamal ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
এই কাজটা আরো আগে করা উচিত ছিল।এক যোগে সারা বাংলা দেশে সেচায় কারাবরণ।নেতা কমি সবাই।
Total Reply(0)
Mahbubur Rahman ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
বিএনপির আন্দোলন!!
Total Reply(0)
Md Marup ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।
Total Reply(0)
Chowdhury Mahidul Islam ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
দেখি কি হয়।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ মোশাররফ ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
জোরদার হবে কিন্তু আলোর মুখ কখনও দেখবে না।
Total Reply(0)
ahammad ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:২৫ এএম says : 0
কেন্দ্রীয় নেতাদের নানান তালবাহানার কারনেই গত বিশ মাষ দেশনেএীকে কারাগারে থকতে হয়েছে। দেখি এবার ওনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয় কিনা ?????
Total Reply(0)
দীনমজুর কহে ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৩৯ এএম says : 0
সারা দেশে একযোগে স্বেচ্চা কারাবরনের মত কর্মসুচি দিলে হয়তো সরকারের টনক নড়তে পারে।কিন্তু এরুপ কঠিন কর্মসুচি বি এন পি সফল করতে পারবে তো??
Total Reply(0)
মোঃ শাহ্জাহান কবির হিরা ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৩৯ এএম says : 0
একসাথে একি সময়ে একি দিনে সিনিয়র নেতাদের যার যার এলাকাতে গিয়ে, তাদের করর্মিদের সাথে নিয়ে কারাবরন এর নির্দেশনা দিন।
Total Reply(0)
Abdul Kader ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৪১ এএম says : 0
দেশনেত্রীর মুক্তির একমাত্র পথ এই হল আন্দোলন আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই
Total Reply(0)
md Rafiqul islam ৩১ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫৯ পিএম says : 0
দেশ নেএির মুক্তি চাই
Total Reply(0)
Mustafa Ahsan ২ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:২৮ এএম says : 0
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সত্যি হলো বিএনপির বর্তমান পরিচালকরা সরকারের পেইড দালাল এরা নেত্রীকে মুক্ত করতে চায় না যার ফলে কোন আন্দোলনের ডাক দেয় না বিনীময়ে সরকারের অর্থ নৈতিক সুবিধা নিয়ে শুধু এখন না তখন করে বেড়াচ্ছে ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন