শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া খনিতে নির্মাণাধীন ভবন ধসে নিহত ২, আহত ৭

পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:০৩ পিএম

পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে নির্মাণকাজ চলা অবস্থায় ছাদ ধসে ২ শ্রমিক নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে। ছাদ ধ্বসে পড়ার খবর পেয়ে শ্রমিক, সাধারণ মানুষ খনির গেটে সমবেত হয়। আসে ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিস। দিনাজপুর থেকে র‌্যাব, আশপাশের থানা থেকে পুলিশ এসে সম্মিলিতভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। নিহত দুজন শ্রমিকের নাম হচ্ছে প্রশান্ত রায় (১৭) ও আকাশ (৩৬। প্রশান্তের বাড়ী পার্বতীপুর উপজেলার চৌহাটি গ্রামের ভেগু রায়ের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী বর্ণমালা স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র। আকাশের বাড়ি ফুলবাড়ি উপজেলার মালিপাড়া গুচ্ছ গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে। খনি কম্পাউন্ডের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি জেনারেটর হাউজ নির্মানকাজ চলছিল। অভিযোগ রয়েছে খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি- সিএমসি কনসোর্টিয়ামের ত্বত্তাবধানে নির্মান কাজটি চলা কাজটির জন্য স্থানীয় একটি দেশীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অতি মুনাফার জন্য অধিকাংশ অপ্রাপ্ত কিশোরকে শ্রমিক হিসাবে সরবরাহ করে। ফলে দূর্ঘটনার পর-পরই অনভিজ্ঞ কিশোরেরা নিহত ও আহত হয়।

নিহত প্রশান্ত রায় তাৎক্ষনিকভাবে তার বাবার নাম জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে তিন জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন বিরামপুর উপজেলার চরকাই গ্রামের চন্ডি রায়, আসাদুল ও আলমগীর হোসেন। আহতদের বিরামপুর ও ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি- সিএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে জেনারেটর হাউজ নির্মানের কাজ চলছিল। শ্রমিক সরবরাহ করে করেছে ফুলবাড়ী উপজেলার একজন ঠিকাদার। সরবরাহকৃত ৭০ শ্রমিকের অধিকাংশই বিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা। ভবনের এক তৃতীয়াংশ ঢালাই হওয়ার পর পরই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আকষ্মিকভাবে এর পুরো অংশ ধ্বসে পড়ে। এসময় প্রশান্ত রায় ও আকাশসহ ছাদের উপরে ও নিচে কর্মরত ৯ শ্রমিক চাপা পড়ে। দূর্ঘটনার পরপরই পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনা স্থলে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যে ৭টা) নিহত প্রশান্ত রায় ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন।
পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রশান্ত রায় ও আকাশ ছাদের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়। তাদের উদ্ধার তৎপরতা চলমান রয়েছে।
এদিকে, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ দূর্ঘটনার পর থেকে কোন সংবাদকর্মীকে খনির ভিতরে প্রবেশ করতে দেননি এবং
খনির দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা মোবাইলফোন রিসিভ করেননি। এতে করে সংবাদকর্মীদের তথ্য সংগ্রহে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
জানা যায়, ঢালাই কাজে প্রথম দিনে ১০০ বস্তা সিমেন্টের কাজ চলছিলো। শ্রমিক ছিলো ৭০জন। ঢালাই শ্রমিক মোকছেদ আলী পিতা ইদ্রিস আলী। বাড়ি বিরামপুর উপজেলার চরকাই গ্রামে। তিনি জানান, ঢালাই কাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন