পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্ত্রী নাজমা আক্তার ও রাবেয়া আক্তার মিষ্টি নামের শিশু কন্যাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী সিরাজুল হক আকন নামের এক ব্যাক্তিকে মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শামসুল হক এ রায় প্রদান করেন। এ সময় আদালত তাকে আরো ৫০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত সিরাজুল হক আকন (৫০)উপজেলার উত্তর মিরুখালী গ্রামের মৃত জবেদ আলী আকনের পুত্র। এ রায় প্রদানের সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
নিহত স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩০) মঠবাড়িয়া উপজেলার বাদুরা গ্রামের আ: রব ফরাজীর কন্যা।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত গত ২০০৩ সালের ৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসামী মো. সিরাজুল হক তার স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩০) ও ৬ মাসের শিশু কন্যা রাবেয়া আক্তার মিষ্টিকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর দেড় মাস আগে আসামী সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রী নাজমা বেগমের নামে রাখা ৩ কাঠা জমি বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিক্রি করতে চায়। আর এ জন্য তার ভগ্নিপতি মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিরুখালী গ্রামের মো. আফজাল হোসেনের বাড়িতে যায়। সেখানে বসে ওই জমি বিক্রির ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী নাজমা বেগম তার কোলে থাকা ৬ মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে ওই বাড়ি থেকে পিতার বাড়ি উপজেলার বাদুরা গ্রামে চলে আসতে শুরু করে ভগ্নিপতির বাড়ির ৫শত গজ দূরে আসে। এসময় স্থানীয় কাদের মিলিটির বাড়ির সামনে পৌঁছলে পিছন থেকে দা হাতে করে এসে স্বামী সিরাজুল ইসলাম স্ত্রী নাজমা ও তার কোলে থাকা ৬ মাসের শিশু কন্যা রাবেয়া আক্তার মিষ্টিকে বেদমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সেখানে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন রাস্তার পাশ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আ: রব ফরাজী বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে আসামীর অনুপাস্থিতিতে বিচারক এ রায় প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন