শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

ক্যাম্পাসে চড়–ই ভাতি

প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যেতে কার না ভালো লাগে। ছোট বেলার সেই গোল্লা ছুট, দাড়িয়া বান্দা, রাজা-রানী চা বিস্কুট, ফুলটোকা, চড়–ই ভাতিসহ আর কত মজার মজার স্মৃতি। কিন্তু এই ইঠ পাথরের নগরীতে সেই সুখকর স্মৃতিগুলো ভুলতে বসেছে সবাই। পুরো বছর জুড়ে থাকে টিউটেরিয়াল পরীক্ষার আধিক্য আর তার সাথে তো এসাইনম্যান্ট থাকেই। চাইলেই তো আর সেই শৈশবে ফিরে যাওয়া যায় না, তবে চেষ্টা করে দেখতে সমস্যা কোথায়? কেবলমাত্রই তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ করে চতুর্থ বর্ষে পা রাখল লোক প্রশাসন বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ক্লাস পরীক্ষা ঝামেলা নেই এই কটা দিন। শিক্ষা জীবনের এক বারে শেষ প্রান্তে এসে হাজির। দিনগুলোকে স্মৃতির প্রেমে বন্দি করে রাখার জন্য যত আয়োজন। সবার একসাথে খাওয়া-দাওয়া বা মজামাস্তি হয়ে ওঠে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হল ‘সুইজারল্যান্ডে’ এ চড়–ই ভাতির আয়োজন। নামটা শুনে হয়তো বা অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যাবে, যাওয়ারই কথা, চড়–ই ভাতির আয়োজন করতে সুইজারল্যান্ড? সুইজারল্যান্ডেই তো হবে, কেননা জায়গাটিতে যেতে জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীদের জন্য তেমন কোন খরচ নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে আট টাকা ভাড়া দিয়ে অথবা পায়ে হেঁটেই যাওয়া যায়। সুইজারল্যান্ডটি ক্যাম্পাসের মাওলানা ভাসানী ও শহীদ রফিক, জব্বার হলের দক্ষিণের সবুজ পাহাড়ি এলাকাটিকে ডাকা হয়। রান্না-বান্নার জন্য সকাল থেকেই কাজ করে যাচ্ছে সেরা রাধুনি খ্যাত প্রাপ্তি, জ্যেতি এবং সেই সাথে সহায়তা করছেন তমাল, সৌমিক, মাছুম, আকাশ, আসলাম, ফরিদসহ আর অনেকে। শৈশবের রীতী অনুযায়ী কেউ পানি আনা কেউ আবার কাটাকাটি, কেউ চুলা জ্বালানো, কেউ আবার হাঁড়ি-পাতিল পরিস্কারের কাজে নেমে গেল। সূর্যটা যখন মাথার উপরে তখন রান্না-বান্নার কাজ সমাপ্ত হলো। বিকাল ৩টায় সবাই একসাথে হয়ে খাবার গ্রহণ করলাম। খাবার সময় একে ওপরের মাংস চুরি, পোলাও নিয়া যাওয়া তো আছেই।
খাবার পরে সবাই বালিস খেলা খেললাম। সবাই কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হলো রুমি। আর এর পরই হাঁড়ি ভাঙ্গা খেলা হলো। তবে সবাই কে সবচেয়ে বেশি মজা এবং স্মৃতিকাতার করেছে ছোটবেলার সেই ফুলটোকা খেলা কাথাও কোথাও এটি বউরানী খেলা নামেও পরিচিত।
পুরো আনন্দ আয়োজনকে ক্যামেরার ফ্রেমবন্দি করে রাখা হবে না ব্যাপারটা কিন্তু এই অতি আধুনিকতার যুগে একেবারেই বেমানান। তাই তো তমাল, আকাশ, মাছুম এবং কিশৌর এর ক্যামেরার শাটার টেপাটেপিতে অবশেষে সেটাও সম্পূর্ণ হলো। রান্না শেষ হতে হতে দিন শেষে নেমে এলো সন্ধ্যা আর সেই সাথে আমরাও হলের পথে হাঁটতে থাকলাম।
ষ সাইফুল ইসলাম সজিব

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন