শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

অনন্য স্থাপনা হাবিপ্রবি’র মুক্তিযুদ্ধ কর্নার

প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুক্তিযুদ্ধ কোনো রূপকথা নয়। নয় কোনো কথিত গল্প। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এক সাচ্চা ইতিহাস। বর্তমান তরুণ ও যুবক প্রজন্ম ৪৪ বছর পূর্বের সাচ্চা ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারেনি। সেজন্য কি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতেই পারবে না? আসলে তা নয়, দেশের বহুমুখী উচ্চশিক্ষার উদীয়মান বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও রক্তঝরা ইতিহাস তুলে ধরার জন্য স্থাপন করল ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’। এ কর্নারে শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রায় সাড়ে তিনশ’ টাইটেলে সহস্রাধিক বই সংরক্ষিত আছে। মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ার জন্য সকলের জন্য উন্মুক্ত অত্যাধুনিক ও নয়নাভিরাম এ কর্নার।
লাইব্রেরি সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির তৃতীয় তলায় স্থাপিত এ কর্নারে ভাষা আন্দোলনসহ দেশ স্বাধীনের সকল আন্দোলনের বই রয়েছে। দেশ স্বাধীনের দলিল, দুর্লভ ছবি, বিদেশীদের যুদ্ধের ইতিহাসের বইও রয়েছে এ কর্নারে। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সকলেই বিচরণ করতে পারবে এবং বই সংগ্রহও করতে পারবে। এছাড়াও যে কেউ এ কর্নারে দুর্লভ ও জনপ্রিয় বই উপহারও দিতে পারবে। এ কর্নারের ধারণক্ষমতা প্রায় দশ হাজার বই।
ক্যাম্পাসের বিদেশি ছাত্র অভিষেক বলেন, দেশ স্বাধীনের ওপর এত বই আমরা কখনও দেখিনি। সত্যিই বাংলাদেশ স্বাধীনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থী বর্ষা, নাসিম, সাথী, রিয়া, সালাউদ্দিন, মালিহা, অনন্যারা বলেন, আমরা জানতামই না যে মুক্তিযুদ্ধ জানতে এত বই পড়তে হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ কর্নার দেখে মনে হচ্ছে উন্নত দেশে অবস্থান করছি। আধোআলো ছায়াতে দেশের মানচিত্র ও বঙ্গবন্ধুর ছবি যেন স্বাধীনতারই প্রতিচ্ছবি। মুক্তিযুদ্ধ কাছ থেকে না দেখলেও অনুভব করলাম মুক্তিযুদ্ধের প্রতিচ্ছবি। বর্তমান প্রশাসনকে অশেষ ধন্যবাদ আমার দেশের সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ করে দেবার জন্য।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আতিকুল ইসলাম ও ফাতিহা ফারহানা অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, জন্মেছি যুদ্ধের এক দশক পর। দাদা-দাদীর কাছে শুধু শুনেছি যুদ্ধের গল্প। এবার নিজের চোখে মুক্তিযুদ্ধের বইসমৃদ্ধ এ কর্নার থেকে বিশদ জানতে পারব বলে খুব ভালো লাগছে। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, এটি মহৎ উদ্দেশ্য। তরুণ প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে। এ কর্নার থেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণাও করা সম্ভব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন বলেন, বাঙালি জাতির গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। এটি গর্বের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমরা জানলেও নতুন প্রজন্ম জানে না। তাদের জন্য ওয়ান স্টেপ সার্ভিস হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ কর্নারের শত শত বই বাংলাদেশ তথা বিশ্বের যুদ্ধগুলোর ইতিহাস জানতে সহজ হবে। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এ সংযোজন তরুণদের বই পড়তে আরো উদ্বুদ্ধ করবে।
ষ শাহীন আলম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন