পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তার দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সহায়তায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের শাস্তি এড়াতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ২০০ কোটি ৯৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা। সোমবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান ইমরান।
টুইটে ইমরান বলেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সহায়তায় তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সরকার আপসরফার মাধ্যমে কার্কে বিবাদের সমাধান করেছে। এতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটস (আইসিএসআইডি) বা আন্তর্জাতিক সালিস আদালতের ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের শাস্তি থেকে রেহাই পেয়েছে পাকিস্তান।
ওই ঘটনায় তুরস্কভিত্তিক বিদ্যুৎ কোম্পানি কার্কে কারাডেনিজ ইলেকট্রিক উরেটিম (কেকেইইউ)-এর সংশ্লিষ্টতা ছিল। এক পর্যায়ে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের বিবাদ আন্তর্জাতিক সালিস আদালতে গড়ানোর উপক্রম হয়। তবে এরদোয়ানের মধ্যস্থতায় কোম্পানিটির সঙ্গে বিবাদ নিরসনে সমর্থ হয় পাকিস্তান। বড় অংকের জরিমানা থেকে বেঁচে যায় ইসলামাবাদ।
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ২০০৮-০৯ সালে ১২টি রেন্টাল পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে পাকিস্তান। ওই ১২ কোম্পানির একটি ছিল তুর্কি প্রতিষ্ঠান কেকেইইউ। পরে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় কেকেইইউ।
পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী নজরদারি সংস্থার বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, কেকেইইউ পাকিস্তানের সরকারকে ১৮ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ায় দৃশ্যত সেখানেই এই সমস্যার সমাধান হতে চলছিল। কিন্তু কিছু রাজনীতিকের পিটিশনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের এপেক্স কোর্টের রায়ে বিষয়টি আটকে যায়। ফলে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক সালিস আদালতের শরণাপন্ন হয় তুরস্কের ওই প্রতিষ্ঠান। এতে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
২০১২ সালে ওই তুর্কি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রায় দেন আন্তর্জাতিক সালিস আদালত। এতে কোম্পানিটিকে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দিতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেন আদালত। পরে বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের শরণাপন্ন হন ইমরান খান। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে এতো বড় অংকের জরিমানা দিতে দেশটির অপরাগতার কথা জানান তিনি। সর্বশেষ সোমবার ওই প্রক্রিয়ায় সাফল্য অর্জনের কথা জানান ইমরান খান। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন