আ.লীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকায় ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সেই সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঐ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম এ আদেশ জারি করেন।
তবে সভা আহ্বানকারী গ্রুপের নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল দাবী করেন , কাউন্সিলকে সামনে রেখে বর্ধিত সভা সকাল পৌনে ১০ টায় শুরু হয়ে পৌনে ১১ টায় শেষ হওয়ার পর কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক সভাস্থলে দা লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হলে প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশংকায় বেলা ১১ টায় ১৪৪ ধারা জারি করে।
ইউএনও আব্দুল করিম বলেন, হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের রুহিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্ধিত সভাকে ঘিরে আওয়ামীলীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষ হওয়ার আশংকায় এ আদেশ জারি করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।
বিদ্রোহী গ্রুপের দাবী, মঙ্গলবার রাতে রুহিয়া গ্রাম থেকে রুহিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদার বাড়ী থেকে লাঠি-সোটা উদ্ধার সহ তাকে গ্রেফতার করে হরিপুর থানা পুলিশ। তবে বিপরীত পক্ষের দাবী, আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার ঈঙ্গিতে নির্দোষ নুরুল হুদাকে আটক করা হয়েছে বর্ধিত সভা বানচাল করার উদ্দেশ্যে।হরিপুর থানার এস আই আনিস জানান , আটক করার সময় নুরুল হুদার কাছে কিছু পাওয়া যায়নি তবে তার বিরুদ্ধে পূর্বের মামলা থাকায় তাকে আটক করা হয়।
বর্ধিত সভা আহবানকারী গ্রæপের অন্যতম নেতা এড. মোঃ মানিক জানান, কাউন্সিলকে সামনে রেখে আজকের বকুয়া ইউনিয়নসহ ইতিমধ্যেই কয়েকটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা সম্পন্ন হয়েছে ও আগামীতেও প্রোগ্রাম রয়েছে। তবে বিরোধী পক্ষের দাবী, দলটির একাধিক নেতাকর্মীকে বর্ধিত সভায় আমন্ত্রণ না করায় এবং বর্ধিত সভার স্থান ইউনিয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে না করে দুরে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে আয়োজন করায় দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়।
ইউনিয়ন আ’লীগের বিদ্রোহী গ্রæপের একাধিক নেতার অভিযোগ, কমিটির অনুমোদন ছাড়াই নতুন করে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করায় এ ধরনের দ্ব›দ্ব লেগেই আছে। তবে বর্ধিত সভা আহবানকারী নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতা কর্মীদেরই বর্ধিত সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান জানান, ইতিপূর্বে ৯ অক্টোবর উপজেলা আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভায় আ.লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। একই ঘঁনার পুনরাবৃত্তির আশংকায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন