শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ম দর্শন

সম্পর্ক ছিন্ন করা ইসলাম নয়

এ.কে.এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

পূর্ব প্রকাশিতের পর


এগুলো নিয়ে সে বৃষ্টি- ভেজা স্থান ও পাহাড়ী ঘাটি তালাম করতে থাকেব। যেন সে নিজের দ্বীন ও ঈমানকে ফেতনা ও অশান্তির হাত হতে রক্ষা করতে পারে।” (সহীহ বুখারী : কিতাবুল আদব)
বস্তুুত : একাকী জীবনযাত্রার জন্য উল্লিখিত পন্থাগুলো খুবই প্রণিধানযোগ্য। প্রথমাবস্থায় যার দ্বারা কোনও মাখলুক বা জমাতের উপকারের বদলে অপকারের সম্ভাবনা বেশী থাকে, সেক্ষেত্রে নির্জনতা অবলম্বন করা নিজের এবং জমাতের উভয়ের জন্যই উপকারী। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশ, জাতি, সমাজ ও দলের নিয়ম-শৃংখলা বলতে কিছুই না থাকলে, পুণ্যশীল ও মঙ্গলকামী লোকজন প্রয়োজনীয় শক্তির অভাবে যদি তা প্রতিহত করতে কিংবা সংস্কার সাধনে অপারগণ হন, তাহলে অরাজকতার হাত হতে নিজেকে রক্ষা করার জন্য একাকী পথ চলাই উত্তম। ফলে তার নিজের নেক আমলের সুযোগ অব্যাহত থাকবে এবং অশান্তির নিগঢ় হতে রক্ষা পাবে।


ইসালামী ইবাদতের মূল অর্থ :
ইসলাম প্রকৃতই শান্তির ধর্ম, নিরাপত্তার ধর্ম। ইসলামের ইবাদত বলতে যা বুঝায় তার পরিসর ও বিস্তৃতি খুবই প্রণিধানযোগ্য। বিশ্বের অন্যান্য ধর্মগুলোর বেলায় তা মোটেই প্রযোজ্য নয়। সংকীর্ণতা, কুপমÐুকতা, অস্পৃশ্যতা ও অধিকারহীনতাই হলো অন্যান্য ধর্মগুলোর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। ইসলামে ইবাদত-এর ধারণা লাভ করতে হলে লক্ষ্য করতে হবে যে, ইবাদতের শাব্দিক অর্থ কি? এর অর্থ হলো-নিজের আজিজী ও আনুগত্য এবং অক্ষমতা প্রকাশ করা। শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহ জাল্লাশানুহুর সন্নিধানে নিজের বন্দেগী ও আনুগত্যের নজরানা পেশ করা এবং তাঁর নির্দেশাবলী অন্ণ্ঠুচিত্তে পালন করার নামই ইবাদত। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, আল-কুরআনে ইবাদতের বিপরীত শব্দ হিসেবে অহংকার ও অহমিকা শব্দদ্বয়কে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, -“যে আমার ইবাদত হতে অহংকার বশে নিবৃত থাকে, সে অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (সূরা মু’মিন)


আনুগত্য প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ফেরেশতাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আল-কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “যারা তাঁর সন্নিধানে অবস্থান করেছে, তারা তার ইবাদতের ক্ষেত্রে কখনো অহমিকা প্রদর্শন করেনা।” (সূরা আম্বিয়া)
এ প্রসঙ্গে সৌভাগ্যশালী ও ঈমানদার মু’মিনদের সম্পর্কে ঘোষণা করা হয়েছে, “অবশ্যই আমার নিদর্শনাবলীর ওপর তারাই পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে, যাদের এই নিদর্শনাবলী দ্বারা বুঝানোর সাথে সাথে তারা সেজদায় পতিত হয় এবং স্বীয় প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং তারা অহঙ্কার করে না।” (সূরা সেজদাহ) (চলবে)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন