শিক্ষা অফিসারকে জুতার মালা পড়ানোর মামলায় পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চার প্রাথমিক শিক্ষককে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক মেহেদী হাসান এ রায় আদেশ প্রদান করেন।
এ সময় আদালতের বিচারক কাউখালী উপজেলার ১ নং সয়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: উজ্জ্বল মিয়াকে ১ বছর ৬ মাস এবং কাউখালী ৩৫ নং কেশরতা সুজাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বাদল হালদার, ১৪নং মধ্য সোনাকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শ্যামল হালদার ও ৩৭নং শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল খানকে প্রত্যেককে ৬ মাস করে কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
এর মধ্যে সয়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: উজ্জ্বল মিয়া একই ঘটনায় বিভাগীয় মামলায় চাকুরী হতে বরখাস্ত আছেন । একই অভিযোগে বাকি তিনজনের মধ্যে বাদল হালদার ও শ্যামল হালদার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত আছেন এবং আব্দুল জলিল খান চাকুরীর ৫৯ বছর পূর্তি হওয়ায় বেতন ভাতা না পেয়েই অবসরে আছেন ।
বাদীপক্ষে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন তালুকদার, ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষক মো: উজ্জ্বল মিয়ার নেতৃত্বে অপর ৩ জন শিক্ষক তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে একছড়া জুতার মালা প্রস্তুত করে তৎকালীন কাউখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করে প্রকাশ্য দিবালোকে জোরপূর্বক কাউখালী উপজেলা সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আমিনুল ইসলামের গলায় পড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায় । তারা নিজেরাই আবার এ ঘটনা নিজেদের ক্যামেরাম্যান দ্বারা ছবি করিয়ে সংবাদ মাধ্যমে সরবরাহ করে ।
পরে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০০৯ সালে পিরোজপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামীদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
আইনজীবী আনোয়ার হোসেন তালুকদার আরো বলেন, এ মামলায় বাদী সহ মোট৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করনে এবং আসামীদের উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষনা করা হয়। আইন অনুসারে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই সরকারি কর্মচারী বিধায় সকলেই চাকরীচ্যুত হবেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন