নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়ায় পুলিশের এসআই নাসির সিরাজী ও সউদী প্রবাসী রব মিয়া হত্যার পৃথক দুটি মামলায় পিতা-পুত্রসহ ৫জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
১২ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ১নং জেলা ও দায়রা জজ শাহ মোহাম্মদ জাকির হাসানের আদালতে আত্মসমর্পন করে তারা জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত শুনানী শেষে তাদের আবেদন না মঞ্জুর করেছেন।
আত্মসমর্পনকারীরা হলেন আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের কদমিরচর গ্রামের রোকন উদ্দিন ওরফে রুকু মেম্বার (৬০), তার ছেলে শফিকুল (২৭), একই এলাকার রব মিয়ার ছেলে আবুল (২৪)ও রুবেল(২৮) ও পাশের এলাকা পূর্ব কান্দির চাঁন মিয়ার ছেলে শফিক (২৮)।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমীন আহমেদ জানান, ২০১১ সালের ১৭ জুন রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের কদমীরচর গ্রাম থেকে আলম, আহসান উল্লাহ, শফিকুল ইসলাম ও ফিরুজ মিয়াকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে গ্রেফতার করে মেঘনা নদী দিয়ে ট্রলার যোগে খাকান্দা পুলিশ ফাড়িতে ফেরার পথে মাঝ নদীতে গ্রেফতারকৃতরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে।
এসময় গ্রেফতারকৃতদের সহযোগীরা নদীর তীর থেকে এলোপাতারী ঢিল ও টেটা ছুরে। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি ছুরে ফাড়িতে চলে আসে। এরপর ফাঁড়িতে এসে ফাড়ির ইনচার্জ নাসির সিরাজীকে খুঁজে পায়নি। পরদিন নদীতে তার মৃতদেহ ভেসে উঠে। এঘটনায় পুলিশের এসআই আহসান উল্লাহ বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আত্মসমর্পনকারীরা চার্জশীট ভুক্ত আসামী।
তিনি আরো জানান, ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর পূর্বকান্দি গ্রামে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১৫-২০টি বাড়ি ঘর ভাংচুর করে রুকু মেম্বার ও তার লোকজন। ওইসময় বাধা দিলে সৌদি প্রবাসী রব মিয়াকে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তখন আরো কয়েকজনকে কুপিয়ে তাদের বাড়ি ঘরে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। এঘটনায় নিহত রব মিয়ার ভাই আম্বার মেম্বার বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন