লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এক শ্রেণীর অসাধুচক্র প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী দলের স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করেই চলছে দিনরাত বালু ঊত্তোলন। এ অবস্থায় তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে চর কালকিনি ও চর লরেন্স ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম অংশ।
স্থানীয়দের অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে চরকালকিনি এলাকার এমরান হোসেন মিলন ভান্ডারীর দিকে। তারা বলছেন, মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চর ও মাঝেরচর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন এই মিলন ভান্ডারী। অবৈধ এই বালু উত্তোলনে চরম হুমকিতে নবীগঞ্জ বাজার, পাকা রাস্তা, কালভার্ট ও ফসলিজমি। আতঙ্কে চর কালকিনি ও চর লরেন্স এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মিলন ভান্ডারী মেঘনা নদী থেকে বালু তুলছে। নদী থেকে বাজারের উপর দিয়ে নেয়া আধা কিলোমিটার বালুর পাইপ লাইন ব্যবসায়ীদের দোকানে আসা যাওয়া লোকদের চরম বাধা ও বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রাস্তায় চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, সরকার একদিকে নদীরক্ষার কাজ করছে আর তার পাশেই ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলার কাজ চলছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে বাজার ও এলাকা দ্রুত ভেঙ্গে বিলীন হবে এমনটাই আশঙ্কা।
এ ব্যাপারে চর কালকিনি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মো. ছায়েফ উল্যাহ বলেন, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এমরান হোসেন মিলন ভান্ডারী বলেন, ভোলার ইলিশা হরিনা থেকে ইজারায় বালু এনে তিনি বিক্রি করছেন।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনচন্দ্র পাল জানান, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন কিংবা পাড় থেকে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু তোলা ও মজুদ করার কোন নিয়ম নেই। এ ধরনের কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন