কুয়াকাটায় চলছে সারা দেশের ন্যায় পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট। এরফলে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে স্পট গুলি। পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই এই ধরেনের পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে শত শত ট্যুরিজম ব্যবসায়ীর। আবাসিক হোটেল গুলোতে অগ্রিম বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকরা। এ ভাবে চলতে থাকলে শত কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা করছে কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
বুলবুলির আঘাত যেতে না যেতে এবার দেশের চলমান পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট। যার কারণে দূরপাল্লার পরিবহন না থাকায় কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট থাকলে এখানে আসা পর্যটকরা কি ভাবে তার গন্তব্যস্থানে স্থানে পৌঁছাবে তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় সৃষ্টি হয়েছে ।
ঢাকা থেকে আসা নাভানা গ্রুপের কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আমাদের অফিসের দুইদিনের কর্মশালায় দুই শতাধিক কর্মীদের নিয়ে অনেক আগেই এই প্রোগ্রাম বুকিং ছিলো হঠাৎ শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কিভাবে ফেরত যাবো এ নিয়ে ভাবছি। হোটেল নীলাঞ্জনার ম্যানেজার মো: হাবিবুর রহমান বলেন, চলমান এই ধর্মঘটের কারণে অমাদের রুম বুকিংগুলো এ সপ্তাহে বাতিল করেছে টুরিস্টরা। এ ভাবে চলতে থাকলে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলগুলোকে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (কুটুম)-এর সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিন আগে হয়ে গেলো বন্যা “বুলবুলি” এরপর এখন আবার শ্রমিক ধর্মঘট এ অবস্থায় পর্যটকরা অনেকাংশই কুয়াকাটা আসার আগের প্রোগ্রামগুলো বাতিল করেছে । এ অবস্থা আরো বেশীদিন চললে এখানকার সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়বে। দ্রুত এই পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তা ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মৎস আড়ৎ আলীপুর-মহিপুরে দূরপাল্লার ট্রাক পরিবাহন না থাকায় মাছের দাম কমে গিয়েছে। এ ধর্মঘট চলতে থাকলে উপকূলীয় মৎসজীবীরা অসহায় হয়ে পড়বে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন