বগুড়া জেলা এ্যাডভোকেটস্ বার সমিতির নির্বাচনে সভাপতিসহ ৮ টি পদে আওয়ামীলীগ ও সাধারণ সম্পাদক সহ ৫ টি পদে বিএনপি প্যানেলের প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়াকে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক ধাক্কা হিসেবে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে বিভিন্নমুখি আলোচনা ও বিতর্ক। এপ্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা আবু জাফর জেমস বলেন , গঠনের পর ৬ মাস হয়েগেল, বিএনপির নতুন কমিটি তাদের বিঘোষিত ৬ মাসের মধ্যে সম্পুর্ণ গনতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে নতুন কমিটি কমিটি গঠনের কাজে বিন্দু মাত্র অগ্রগতি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার কারণ বগুড়ার ২ জন বিএনপি দলীয় এমপি এখন পকেট কমিটি গঠন, টি আর কাবিখা, স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটি গঠন সহ নিজেদের ব্যবসা বানিজ্য ও শিল্প কারখানার বিস্তার নিয়ে ব্যস্ত। রাজনীতি ও রাজনৈতিক কর্মসুচির সফল বাস্তবায়ন তাদের কাছে মুখ্য নয় এখনা তা’ গৌন ।
অনেক সিনিয়র নেতাই মনে করছেন, বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে চিহিত বগুড়া বারের পরাজয় প্রমান করে দিয়েছে বগুড়া বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব সুষ্ঠুভাবে দল পরিচালনায় উপযুক্ত নন ।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত বগুড়া বারের নির্বাচনে সমিতির নির্বাহী কমিটির ১৩ টি পদের মধ্যে ৮ টি পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী এ্যাড, মোঃ গোলাম ফারুক, সহ-সভাপতি প্রার্থী এ্যাড, মোঃ মাহবুবর রহমান ফারুক, এ্যাড, মোঃ রহমতুল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী এ্যাড, এ.কে.এম রেজাউল হক, লাইব্রেরী ও সমাজকল্যান সম্পাদক প্রার্থী এ্যাড, মোঃ ইউনুছ আলী, ম্যাগাজিন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রার্থী এ্যাড, মোঃ রিয়াজুল জান্নাত প্রিন্স, সদস্যপদ প্রার্থী এ্যাড, মোঃ আজিজুল হক ফিরোজ এবং এ্যাড, মোছাঃ বেবী খাতুন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে এ্যাড, মোঃ রফিকুল ইসলাম (১), যুগ্ম সম্পাদক পদে এ্যাড, মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক, সদস্য পদে এ্যাড, মোছাঃ সালমা সুলতানা, এ্যাড, মোঃ জামাল পাশা রানা ও এ্যাড, মোঃ উজ্জ্বল হোসেন নির্বাচিত হয়ে দলের মুখ রক্ষা করেছেন। তারপরও দলের তৃনমুল কর্মিরা বিষয়টাকে দলের জন্য রাজনৈতিক ধাক্কা হিসেবেই বিবেচনা করছেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন