আশিক বন্ধু : এবারের সিজন ৯-এর মিরাক্কেল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের আরমান সেকেন্ড রানার্সআপ হয়েছেন। একটানা ছয় মাস মিরাক্কেলের বিভিন্ন রাউন্ডে আরমান নিজের মেধা দিয়ে চিনিয়েছেন আমরা বাংলাদেশীরা ভারতের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। হাজার হাজার প্রতিযোগীকে টপকে আরমান সবাইকে হাসিয়ে সাফল্য অর্জন করেছেন। গত ১২ জুন মিরাক্কেলের ফাইনাল রাউন্ড ছিল। আরমানের পারফরমেন্স দেখে দর্শক মুগ্ধ হন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মীর বিভিন্ন রাউন্ডে আরমানের পারফরমেন্স দেখে তার কপালে চুমু খেতেন। আরমান তার এ সাফল্যকে দেশের সাফল্য বলে মনে করেন। তিনি বলেন, যে সম্মানটা পেয়েছি, তা ধরে রেখে আরো ভালোভাবে নিজের অভিনয় ও গানটাকে অনেক উঁচু জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। স্বপ্নগুলো পূরণ করে যাবো সর্বোচ্চ সাধনা দিয়ে। আরমান বলেন, পরিকল্পনা করে চলতে চাই। এর জন্য ভালো কাজের সুযোগ প্রয়োজন। সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। অনেক মাধ্যম থাকতে কমেডি বা জোকস বেছে নেয়ার কারন সম্পর্কে আরমান বলেন, স্কুল লাইফ থেকে বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা নিজের রুমে যখন একলা সময় কাটাই, তখন বিভিন্ন কমেডি আইডিয়া বা জোকস মাথায় আসতো, তা বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতাম। ডায়রিতে লিখে রাখতাম। নানা ধরনের গান ও জোকস বা গল্প মাথায় এসে ভর করাতো। এগুলো বন্ধুদের শোনাতাম। বন্ধুরা উৎসাহ দিতো। আমিও স্বপ্ন দেখতে শুরু করতাম, এসব গল্প, কমেডি আইডিয়া যদি সবার কাছে পৌঁছাতে পারতাম! এমন আশা থেকে মিরাক্কেলে অংশ নেই। পরিশ্রমের মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত যেতে পেরেছি। এটা অনেক বড় পাওয়া। এ পাওয়াকে সার্থক করতে আরো সাধনা করে যাবো। সবার সহযোগিতাও কামনা করছি। মিরাক্কেল সিজন ৯-এ ঘটে যাওয়া আরমানের জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় মুহূর্তগুলো হলো, আরমান যখন স্টেজে গান করতেন, গান শুনে পরান বন্দ্যোপাধ্যায় কেঁদে দিতেন। আরমান বলেন, দৃশ্যটি সারাজীবন মনে থাকবে আমার। প্রতিটি পারফরমেন্স শেষে মীর দাদা আমার কপালে চুমু খেতেন। এটি আমার কাছে সেরা মুহূর্ত। আরমানের জন্ম কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়। আট ভাইবোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ আরমান বরাবরই স্বাধীন। নিজের মেধা বিকাশে ছুটেছেন শহর গ্রামে। যেখানে গান হতো, সেখানে আরমান ছুটে যেত। সহযোগিতা পেলে গানের একক অ্যালবাম করতে চান আরমান। আর মিডিয়ার কাছে আরমানের চাওয়া হলো, নতুনদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে, নতুন নতুন জোকস বা কমেডি অনুষ্ঠান নির্মান করা প্রয়োজন, যাতে কমেডি মাধ্যমটা আরো প্রচার ও প্রসার লাভ করে। আরমান নিজেকে সামাজ সেবামূলক কাজে জড়িয়ে রেখেছেন। ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের চিকিৎসা সেবার কাজে প্রচারণা ও সাহায্য সহযোগিতার জন্য ক্যাম্পেইন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন