শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিল করেনি রাষ্ট্রপক্ষ, খালেদা জিয়ার জামিন হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৮ এএম

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন হয়নি। পরবর্তী শুনানি ১২ ডিসেম্বর। কারণ খালেদা জিয়ার মেডিকেল প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তার আরও কিছু স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি আছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের চিকিৎসকেরা, এজন্য সময় প্রার্থনা করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই মেডিকেল প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ওই দিনই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি করা হবে বলে আপিল বিভাগ আদেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত শুনানি শুরু হয়।

শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, খালেদা জিয়ার আরও কিছু স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি আছে। এ জন্য দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। এরপর আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়ে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে এ মামলার শুনানির সময় গত ২৮ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে তার বিষয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজকের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বোর্ডকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এই দিনই আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করে দেন আদালত। সেই পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখা হয়। সেই মোতাবেক আজ স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল।

খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিনের শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মমতাজউদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।

খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের সংশ্নিষ্ট শাখায় গত ১৪ নভেম্বর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে ১৭ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামিন আবেদনটি আপিল বিভাগে কার্যতালিকাভুক্ত হয়।

৩১ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ১৪ নভেম্বর সাতটি গ্রাউন্ডে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়। ১৭ নভেম্বর আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ২৫ নভেম্বর শুনানির পর বিচারক সেটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
** মজলুম জনতা ** ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:০৫ এএম says : 0
আর সময় খ্খেপন না করে মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও খালেদা জিয়াকে জামিন দিন।তাতে সরকার- দেশের কোন খতি হবেনা।বরংজনগন অনাখাংখিত আন্দলনের রোশানল থেকে বাচঁবে।।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন