বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেলেও বাংলাদেশের এ বিষয়ে নিজস্ব কোনো পরিসংখ্যান ও ধারণা নেই। আর তাই সঠিক তথ্য জানার জন্যই ‘সেন্ট্রাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি’-এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই তথ্য ভান্ডার সবার জন্য কাজে আসবে। এমনটিই জানিয়েছেন জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. এম এ হাই। তিনি জানান, সঠিক পরিসংখ্যান না থাকা এবং সমন্বয় না থাকায় সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। একই সঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত শুধু এক হাজার রোগীর জন্য ওষুধ বাবদই প্রতিবছর সরকারের ব্যয় হচ্ছে ১৫ কোটি টাকা।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সেন্ট্রাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি’ সফটওয়্যার এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি। প্রফেসর ডা. এম এ হাই সফটওয়্যারটি তত্ত্বাবধান করছেন। এতে অংশ নেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সফটওয়্যার তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান সিএমইডি পরিচালক প্রফেসর খন্দকার এ মামুন। বক্তব্য রাখেন সানোফির পরিচালক তাবরি আশরাফ ভূঁইয়া, ডা. মো. মাসুমুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নতুন এ সফটওয়্যার রোগীদের সহজে চিকিৎসাসেবা পেতে সহায়ক হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু ২০১৮ সালে নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৮১ লাখ মানুষ। আর বিশ্ব ক্যান্সার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মতে, বাংলাদেশে গত বছর ক্যান্সারে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন