শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বেরোবিতে দুর্নীতির সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ না হলো কঠোর আন্দোলন

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:৩৯ পিএম

বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের দাবীসহ অতীতে যেসব দুর্নীতি হয়েছে সেগুলোর তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন ও সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন। রবিবার বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত সচেতন শিক্ষকবৃন্দের ব্যানারে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে বক্তাগন বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। লিয়াজোঁ অফিসের নামে ঢাকায় নিয়োগ বানিজ্য দ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডে স্থবিরতার সৃষ্টি করেছেন। সহ নানা অপকর্ম করা হচ্ছে। লিয়াজোঁ অফিস বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপন অমান্য করে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ লাগাতারভাবে ক্যাম্পাসে অনুস্থিত থেকে নানা অপকর্ম সংঘঠিত করে চলেছেন। ইতিমধ্যে বি-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নীতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জুনিয়র নতুন শিক্ষকদেরকে দিয়ে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তা পুনর্গঠন করে নিরপেক্ষ সিনিয়র শিক্ষকদেরকে দিয়ে তদন্ত করতে হবে। প্রয়োজনে জাতীয় পর্যায়ের কোন শিক্ষাবিদকে দিয়ে তদন্ত করতে হবে। বক্তাগন উপাচার্যের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করেন। তারা অবিলম্বে এসব অনিয়ম তদন্ত দাবি করেন।
বক্তাগন আরো বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের সবচেয়ে পরিচ্ছন্নতার জায়গাটি ভর্তি প্রক্রিয়া। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এই ভর্তি প্রক্রিয়াতেও নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করা হচ্ছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় একজন শিক্ষিকার ছোট বোন মিশকাতুল জান্নাত নামে এক ভর্তিচ্ছু দুর্নীতির মাধ্যমে প্রথম স্থান অধিকার করে। এই ভর্তিচ্ছু উপাচার্যের পূর্ব পরিচিত এবং ঘনিষ্ঠজন। দীর্ঘদিন থেকে এই ভর্তিচ্ছুর বাড়িতে উপাচার্যের যাতায়াত রয়েছে। এমনকি ভর্তি পরীক্ষার তিনদিন আগে উপাচার্যের বাসভবনেও (যেখানে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাজ হয়েছে) তাকে দেখা গেছে।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবীর সুমন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক মো: মশিউর রহমান, নীলদলের সভাপতি ড. নিতাই কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মতিউর রহমান, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এইচ এম তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকার ছোটবোন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে সামাজিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে রেকর্ড পরিমাণ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করলেও অন্য দুই ইউনিটে সর্বনিম্ন নম্বর পেয়ে ফেল করেছে। ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রেখে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লিখিত আবেদন করেছেন সাধরাণ শিক্ষকরা। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছাত্রীর ভর্তি স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন