শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলছে সেনাবাহিনীর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:৫৩ পিএম

সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চারপাশে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে সেনাবাহিনীর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ ।

রবিবার দুপুরে উখিয়ার থাইংখালীর ময়নারগুনা নামক রোহিঙ্গা শিবির দেখা গেছে এমন চিত্র । এ সময় প্রধান সড়ক ও ক্যাম্পেট ভেতরে সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য পিলার স্থাপনা করছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সময় রোহিঙ্গারা তা দেখতে ভিড় করছিল তখন। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কাজ অব্যাতভাবে চলছে।

ওই ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক আহমদ (৬৭) বলেন, ‘ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে রোহিঙ্গা নিরাপত্তা জোরদার হবে। এখন ক্যাম্পে কিছু খারাপ লোকজন ঢুকে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করে। এই কাঁটাতারের বেড়ার কারণে আগের মত লোকজন চলাচল করতে পারবে না। এই উদ্যোগ আরও আগে নেওয়া দরকার ছিল। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।’
ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া কাজ শুরু হওয়ায় অধিকাংশ রোহিঙ্গা খুশি হলেও কিছু রোহিঙ্গা ভেতরে বেড়া নির্মাণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোহিঙ্গা।

উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রন্সিপ্যাল হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। ক্যাম্পে কাটাতাঁরের বেড়া না থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছিল রোহিঙ্গারা। এখন আর সহজে তা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে রেখে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া এই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ফলে ক্যাম্পে অনেক অপরাধ রোধ করা যাবে।

উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন, অপহরণ, মাদক ও মানব পাচারের ঘটনা অনেক পুরানো। এসব ঘটনা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল। ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনী শুরু করেছে। এটা স্থানীয়দের মত রোহিঙ্গাদের জন্য ভাল হবে।
পুলিশ সূত্র বলছে, গত দুই বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন হয়েছে প্রায় অর্ধশত মানুষ। আর মামলা হয়েছে চার শতাধিক।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইবাল হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেক ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। সেটি মাথায় রেখে সরকার কাটাতাঁরের বেড়া নির্মাণ করছে। এতে বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা বাড়বে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধামূলক কর্মকাণ্ড অনেকটা কমে আসবে।’

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর অল্প সময়ের মধ্যে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে আসেন প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে থেকে এ দেশে অবস্থান করছিলেন আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারের প্রায় ৩৪টি শিবিরে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে হত্যা, অপহরণ, মাদক ও মানব পাচারের মতো ঘটনা রোধে সরকার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ক্যাম্পের চার পাশে কাঁটা তারের গেরা দেয়ার উদ্যোগ নেয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ash ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৩:২৩ এএম says : 0
KATA-TARER BERAY TEMON KONO KAJ HOBE BOLE MONE HOY NA, KHALI GORCHA E JABE ! TAR CHEA ROHIGGADER SHORIE DESHER KOYEKATA CHOR E RAKHA WICHITH, YOUNG DER TRAINING ER BEBOSTHA KORA JORURI ! SHOJA AUNGGUL E GEEE NA WITH LE AUNGGUL BEKA KORTE HOBE!
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন