টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শামীম আল মামুনের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ মো. একাব্বর হোসেনসহ মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘জমি দখল ও চাঁদাবাজি করে টাঙ্গাইলের শামীম কোটিপতি’ টাকায় বাগিয়ে নেয় উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পদ’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
নিন্দা ও প্রতিবাদে নেতৃবৃন্দ জানান, শামীম আল মামুনের নামে যেসব তথ্য দিয়ে পত্রিকাটিতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাঁরা জানান, শামীম আল মামুন তাঁর মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে মির্জাপুরবাসীসহ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মন কেড়েছেন। তিনি কখনও বিএনপি কিংবা তাঁর অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কোনদিন কোথাও চাঁদাবাজি কিংবা জমি দখলের রেকর্ড নেই। অথচ তাঁর নামে পত্রিকাটি মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা সত্যিই বিষ্মিত হয়েছি। একজন সুন্দর মনের মানুষের বিরুদ্ধে এ রকম একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে দেখে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবিদ হোসেন শান্ত বলেন উপজেলা যুবলীগের নন্দিত নেতা শামীম আল মামুন যুব সমাজের অহংকার।তার জনপ্রিয়তায় ইর্শ্বানিত হয়ে একটি কূ-চক্রী মহল প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছেন। প্রতিহিংসার রাজনীতি নয় তিনি সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা করার আহবান জানান।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্কুল জীবন থেকে শামীম আল মামুনের সঙ্গে ছাত্রলীগ করছি। ছাত্র সংগঠন থেকে যুবলীগ করতে শুরু করেছি। প্রকাশিত ওই পত্রিকাটিতে টাকার বিনিময়ে উপজেলা যুবলীগের কমিটি আনার কথা বলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব আমাদের প্রতি আস্থাশীল হয়ে যুবলীগের দায়িত্ব দিয়েছেন। সে মোতাবেক আমরা কাজ করছি।’
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন বলেন, শামীম আল মামুন পারিবারিকভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। অথচ পত্রিকাটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে বিএনপি নেতা বানিয়েছেন। এই মিথ্যা তথ্যে শুধু শামীম আল মামুন নয় পুরো আওয়ামী লীগ পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন করেছে।
উপজেলা মু্ক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস বলেন, শামীম আল মামুন একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে এসে আজ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক। তিনি একজন নম্র ভদ্র ও সাদা মনের মানুষ। হয়েছেন।মির্জাপুরের মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল পর্যায়ের লোকজনের মধ্যে শামীমের গ্রহণযোগ্যতা অনেকের উর্দ্বে।
উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোতালেব মিয়া বলেন, শামীম আল মামুন মির্জাপুর কলেজের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্র নেতা ছিল। দীর্ঘ সময় তিনি মির্জাপুর কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তার মত পরিচ্ছন্ন একজন যুব নেতার বিরুদ্ধে পত্রিকায় ভিত্তিহীন খবরটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমন বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরোধী শামীম আল মামুন অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতায় তিনি এখন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক। সমসাময়িক যে কোন নেতার চেয়ে শামীম আল মামুন জনপ্রিয়তায় এগিয়ে।তার জনপ্রিয়তায় ইশ্বার্নিত হয়ে একটি মহল এই পথ বেছে নিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের পরপর চার বার নির্বাচিত সাংসদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর বলেন, মির্জাপুরে একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজমান। নেতাকর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকাটাই স্বাভাবিক।তবে তা প্রতিহিংসায় রুপ না ভাল লক্ষন নয়। সরকারের উন্নয়ন জনগণের দোড়গোড়ায় পৌছাতে দলের সকল পর্য়ায়ে নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন