প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, শ্রমবাজার সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। সউদী আরবেও জনশক্তি রফতানি কমছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার যদি উন্মুক্ত হয় তা হলে ২/৩ লাখের বেশি কর্মী যাবে না। প্রবাসী মন্ত্রী বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নতুন নতুন শ্রমবাজার সন্ধ্যানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিদেশে নারী কর্মীদের অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গতকাল রোববার বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কথা বলেন। প্রবাসী সচিব মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমদ, বায়রার সাবেক নেতা ফখরুল ইসলাম, ফিমেল ওয়ার্কার্স রিক্রুটি এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফোরাব) সভাপতি টিপু সুলতান, সান সাইন ওভারসীজের স্বত্বাধিকারী মো. আনোয়ার হোসাইন ও বাদশা।
প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, বিদেশে নারী কর্মী সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা সকলেরই সমস্যা। নারী কর্মী প্রেরণে সঙ্কট সমাধানের পথও খুঁজে বের করতে হবে। তিনি যে সব রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভার লক রয়েছে তাদের বিদেশ গমনেচ্ছু অপেক্ষমান কর্মীদের ভিসার প্রক্রিয়া চালু করার জন্য বিএমইটিকে নির্দেশ দেন। প্রবাসী সচিব সেলিম রেজা বলেন, ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে সউদীতে মহিলা গৃহকর্মী প্রেরণের সুযোগ নেই। বিদেশে মহিলা গৃহকর্মীদের অধিকতর সুরক্ষার জন্য শিগগিরই স্বয়ংসম্পন্ন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। তিনি এ ব্যাপারে রিক্রটিং এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিত পরামর্শ প্রদানের অনুরোধ জানান। প্রবাসী সচিব বলেন, বিদেশে মহিলা গৃহকর্মী প্রেরণে দালালদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যথায় সউদীতে জনশক্তি রফতানিতে বিপর্যয় নেমে আসবে। বায়রা সভাপতি বেনজীর আহমদ বলেন, জনশক্তি রফতানির এই বিশাল খাতকে বাচিয়ে রাখতে হবে। তিনি ভুল ভ্রান্তি সংশোধন করে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভার লখ খুলে দেয়ার অনুরোধ জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন