সাভার উপজেলার আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দেয়া বাসী খিঁচুড়ি খেয়ে এক মাদরাসার ১১ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পরে। এদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ ৯ জনকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থরা হচ্ছে- নুর হোসেন, সামিউল ইসলাম, হামিদুল ইসলাম, ইয়াছিন আলী, আতিকুর রহমান, ইয়াছিন খান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, আমির হামজা, ইমরান হোসেন। তারা সকলেই সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
তারা সকলেই আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার জামিয়া আশরাফিয়া দারুল উলূম দুদুমিয়া মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থী।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল নুর বলেন, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে মাদ্রাসার ৯ শিশু শিক্ষার্থী হাসপাতালে আসে। তখন তাদের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের পেটে সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসার পর তারা সুস্থ রয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাদের হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়ার কথা।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবর আমাদের মাদরাসায় খিঁচুড়ি দেন। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাদের খিচুঁড়ি খেতে দেয়। খিঁচুড়ি খাওয়ার সময় গন্ধ আসলে মাদরাসার হুজুরদের বললে তারা জোর করে আমাদের খাওয়ায়। খাওয়ার পর থেকেই আমরা অসুস্থ হয়ে পরি।
জামিয়া আশরাফিয়া দারুল উলূম দুদুমিয়া মাদরাসার নায়েবে মুহতামীম (সহকারি অধ্যক্ষ) মুফতি বাহাউদ্দিন বলেন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক ডেগ খিঁচুড়ি সোমবার সকাল ১০টার দিকে মাদরাসায় পাঠায়। যেগুলো বিজয় দিবসের আগের রাতে রান্না করা ছিল। পরে ৫০০ শিক্ষার্থীকে অল্প অল্প খেতে দেই, বেশিরভাগ ছাত্রই খায়নি। অনেকেই খাওয়ার পর বমি করে। এর মধ্যে ছোট শিক্ষার্থী ১১জন বেশি অসু¯্য হয়। ৯ জনকে এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। তারা এখন সুস্থ রয়েছে। তবে বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবরকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, ৪টি মাদরাসায় খিঁচুড়ি দিয়েছি কোনটায় সমস্যা হয় নাই। আপনাদেরটায় সমস্যা কেন হলো।
এ প্রসঙ্গে জানতে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবরের মুঠফোনে একাধিকবার ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন