কক্সবাজার সৈকতের হিমছড়ি বীচে মারমেইড ক্যাফের মদের বোতল দিয়ে সাজানো সেই আলোচিত কটেজে অভিযান চালিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। অস্ট্রেলিয়ান এক নারী পর্যটককে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হলে ওই কটেজে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযান চালায়। বুধবার বিকেলে অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী।
মারমেইড বিচ রিসোর্টের মালিক আনিসুল হক সোহাগের বাড়ির ভেতরেই এ কটেজ অবস্থিত। আনিসুল হক সোহাগ তার মাদকাসক্ত ছোটভাই স্যামকে কটেজ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কটেজে নিয়মিত রমরমা মদের আসর বসতো বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন ধরনের নিরাপত্তা ছাড়াই দেশি বিদেশি পর্যটকদের অননুমোদিত এ কটেজে রাখা হতো। গত কয়েকদিন আগে অস্ট্রেলিয়ান নারী পর্যটককে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়া কটেজ পরিচালনাকারি স্যামকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে। বুধবার বিকেল পৌনে ৫ টায় কটেজ থেকে উদ্ধার মালমাল জব্দ করে সিজার লিস্ট তৈরি করা হচ্ছিল বলে একটি সূত্র জানিয়েছেন। অভিযান পরিচালনার সময় আনিসুল হক সোহাগের ভাগিনী পরিচয়দানকারি উম্মে হাবিবা নামে এক মহিলা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহা. শাজাহান আলি জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অননুমোদিত এ কটেজে অভিযান চালানো হয়। তিনি বলেন, কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ এলাকা। কক্সবাজারের সুনাম রয়েছে বিশ্বব্যাপি। এ অবস্থায় আলোচিত কটেজে সম্প্রতি সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অস্ট্রেলিয়ান নারী পর্যটককে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দুঃখজনক। কক্সবাজারকে ‘পর্যটন রাজধানী’ ঘোষণার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে উল্লেখ করে এডিএম মোহা. শাজাহান আলি বলেন, সরকারি বিধি মেনেই, কক্সবাজারের সুনাম বৃদ্ধির চিন্তা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদের কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের সুনাম ও দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজ কোন অবস্থাতেই কাউকে করতে দেয়া হবেনা। কেউ পর্যটন শিল্পের কোথাও অনৈতিক কাজ কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে, পর্যটকদের নিরাপত্তা বিঘিœত করতে চাইলে তাদের কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন