পূর্ব বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর বাউফলে আবু বক্কর ছিদ্দিক (৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
আর মারধরের ঘটনায় বুধবার বিকেলে নিহত ব্যক্তির মা মোসা. পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে বাউফল থানায় মামলা করেছেন।পেশায় আবু বক্কর ছিলেন জেলে। তাঁর বাড়ি উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. শফিজ উদ্দিন সিকদার।
সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন উত্তর মমিনপুর গ্রামের জেলে মো. রমিজ মৃধা (৩৫) ও মো. বাবু মৃধা। পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাদেরকে দুই মাসের কারাদন্ড দেন। দুই মাস কারাভোগের পর সম্প্রতি তারা মুক্তি পান। আর ওই গ্রেপ্তারের ঘটনার জন্য রমিজ ও বাবু দায়ী করেন আবু বক্কর ছিদ্দিককে। তারা মনে করেন তাদেরকে আবু বক্কর ছিদ্দিক ধরিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আবু বক্করের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত সোমবার রাতে আবু বক্কর ছিদ্দিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ওই রাতেই তাকে স্পিডবোটে করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বুধবার রাত সাতটার দিকে মারা যান।
আবু বক্করের মা পিয়ারা বেগম অভিযোগ করেছেন, সোমবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন আবু বক্কর। রাত সাড়ে সাতটার দিকে ফেরার পথে মমিনপুর কালা মিয়ার বাজারের পশ্চিম পাশে পৌঁছালে রমিজের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জনের একটি দল আবু বক্করের পথরোধ করে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
রমিজ ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশাকরছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই গ্রেপ্তার হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন